মাতৃত্ব কোনও বাধা নয়, রাগবির মাঠে প্রমাণ করছেন ডিটেকটিভ সঙ্গীতা 

মাতৃত্ব কোনও বাধা নয়কলকাতা পুলিশের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর সঙ্গীতা বেরা।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: মাতৃত্ব কোনও বাধা নয়, তা বার বার প্রমাণ করেছেন মহিলা খেলোয়াড়রা। মা হওয়ার পরও টেনিস কোর্টে ফিরেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। দাপটে খেলছেন ফ্রেঞ্চ ওপেনে। বক্সিং রিংয়ে ফিরেছেন মেরি কমও। ওঁরা প্রমাণ করেছেন, খেলাধুলার ক্ষেত্রে মাতৃত্ব কোন ভয়ঙ্কর বাধা নয়। খেলাটাকে ভালবাসলে, আর মনের জোর থাকলে ফিরে আসা যায়।

সঙ্গীতা সিজার করতে রাজি হননি। বিশেষজ্ঞরা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে প্রসব হলে খেলার মাঠে ফেরা সময়সাপেক্ষ হবে, এবং হলেও থেকে যাবে ঝুঁকি।

কলকাতা পুলিশের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর সঙ্গীতা বেরা ওঁদের মতো বিখ্যাত নন। কিন্তু সঙ্গীতার গল্পও আলাদা নয় খুব। ৩৪ বছর বয়সে সন্তানধারণের পরেও প্রবল ইচ্ছেশক্তি এবং মানসিক দৃঢ়তায় ভর করে ফিরে এসেছেন রাগবির মাঠে।

স্প্রিন্টার হিসাবে খেলাধুলোর দুনিয়ায় পা রাখা এবং একটা সময় কোচের পরামর্শে রাগবিকে বেছে নেওয়া। ২০১৫ সালে প্রি-অলিম্পিক কোয়ালিফায়ারে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তারপরই জানতে পারেন, তিনি গর্ভবতী। ডাক্তার বলেছিলেন সিজার করতে, কেননা গর্ভস্থ সন্তানের ওজন চার কেজিরও বেশি ছিল।

ডায়াবেটিস আসলে নিঃশব্দ খুনি

সঙ্গীতা সিজার করতে রাজি হননি। বিশেষজ্ঞরা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে প্রসব হলে খেলার মাঠে ফেরা সময়সাপেক্ষ হবে, এবং হলেও থেকে যাবে ঝুঁকি। অন্যদিকে, নর্মাল ডেলিভারির কষ্ট সহ্য করতে পারবেন কিনা, সে নিয়েও গভীর সংশয়ে ছিলেন চিকিৎসকরা। দ্রুত মাঠে ফিরতে অনড় সঙ্গীতা বন্ড লিখে দিয়েছিলেন, স্বাভাবিক পদ্ধতিতেই প্রসব হোক।হয়েছিলও তাই । সঙ্গীতা পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।

স্প্রিন্টার হিসাবে খেলাধুলোর দুনিয়ায় পা রাখা এবং একটা সময় কোচের পরামর্শে রাগবিকে বেছে নেওয়া। ২০১৫ সালে প্রি-অলিম্পিক কোয়ালিফায়ারে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তারপরই জানতে পারেন, তিনি গর্ভবতী।

কিছুদিন পরেই শুরু করে দিয়েছিলেন অনুশীলন, ডায়েটিং, মাঠে ফেরার লড়াই। বেড়ে যাওয়া ওজন ৯৫ কেজি থেকে নামিয়ে এনেছিলেন ৬০ কেজিতে।প্রায় দেড় বছর পর, সিঙ্গাপুর আর ফিলিপিন্সে আগামী ২ জুন থেকে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক রাগবি টুর্নামেন্টে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন সঙ্গীতা।

সঙ্গীতার সাফল্যে গর্বিত কলকাতা পুলিশ। তাঁঁদের অভিনন্দন এবং শুভকামনাা যে সব সময় সঙ্গীতারর সঙ্গে থাকবে তাও কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন। কলকাতা পুলিশকে জাস্ট দুনিয়ার তরফে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে সঙ্গীতার লড়াইয়ের কাহিনী ভাগাভাগি করার জন্য। আমরাও আছি সঙ্গীতার জন্য শুভ কামনা নিয়ে।

(কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া এক সত্যি জীবনের লড়াইয়ের কাহিনী।)