করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত যুবপ্রজন্ম, কারণ জানাল আইসিএমআর

Noida School Shuts

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত যুবপ্রজ‌ন্ম যা চিন্তা বাড়িয়েছে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায়। যার ফল প্রতিদিন এত এত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, হাসপাতালে জায়গা নেই, অক্সিজেন নেই, চিকিৎসা নেই, সঙ্গে প্রতিদিন অনেক মৃত্যু। প্রথম ঢেউয়ের সময় অবস্থা তো এতটাও খারাপ ছিল না। ২০২০-তে করোনার ঢেউ ভারতে আছড়ে পড়তেই গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে নির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সাবধানে রাখতে হবে পরিবারের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের এবং যাঁদের কোনও অন্য রোগ রয়েছে তাঁদের। যার ফলে সেই নির্দিষ্ট পথে হেঁটে করোনার মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছিল।

এক তো বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই থাকেন। তাঁদের বাড়ির বাইরে বেশি যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। এই অবস্থায় তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়েছিল। কিন্তু  ৪৫-এর নিচের মানুষগুলো! এখানেই উঠছে সব থেকে বড় প্রশ্ন। এক তো, বয়স কম থাকায় আত্মবিশ্বাস কখন যে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে পরিণত হয়েছে তা নিজেও টের পাননি সেই ব্যক্তি। সঙ্গে তাঁদের সব থেকে বেশি বাইরে বেরতে হয়েছে, সে চাকরী, ব্যবসা হোক বা বাড়ির বাজার।

তবে এবার যেভাবে কম বয়সীরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে চিন্তা বাড়ছে। যে কারণে একজন আক্রান্ত হলে গোটা পরিবার আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর প্রধান বলরাম ভার্গব তুলে এনেছেন কারণ। তিনি বলেন, ‘‘কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন কম বয়সীরা। এর কারণ প্রথম ঢেউয়ের প্রভাব কমে কিছুটা কমে যাওয়ার পরই নিয়মবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জীবন যাপন করেছে।’’

এটা খুবই সত্যি কথা একটা সময়ের পর দেখা গিয়েছে, কারও মুখে মাস্ক নেই। মাস্ক পড়তে বললে অনেকেই আবার রেগে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। ভার্গব বলেন, ‘‘আর ঠিক গত বছরের মতো একই সময়ে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে যা আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে নানা ধরনের প্রজাতি। আর সেই প্রজাতির কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা।’’

তবে ৪০ ঊর্ধ্বদের মধ্যে ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব বেশি পড়ছে এবং সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তবে দৃশ্যত যদিও মনে হচ্ছে এবার সব বয়সীরাই সমানভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং তার মধ্যে কম বয়সীদের সংখ্যা বেশি। কিন্তু আইসিএমআর-এর একটি রিপোর্ট বলছে, ২০২০-তে ৩১ শতাংশ আক্রান্তের বয়স ছিল ৩০-এর নিচে। ২০২১-এ সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ শতাংশে। তবে স্বস্তির বার্তা দিয়ে তাঁরা বলছেন, যে সব রাজ্যে শুরুতে হু হু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল সেখানে এখন কম হলেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সব রাজ্যই নিজেদের মতো করে লকডাউন করছে। যার ফলে নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।

তবে কম বয়সীদের আরও সচেতন হতে হবে সমাজের কথা ভেবে, নিজের পরিবারের কথা ভেবে। যেভাবে  যুব সমাজ নিজেদের উজার করে দিয়েছে করোনা আক্রান্তদের সেবায় সেভাবেই নজর রাখতে হবে নিজের ও বাকিদের নিরাপত্তার দিকেও। ন‌িজেরকে নিরাপদ রাখা মানে আশপাশের মানুষগুলোকেও নিরাপত্তা দেওয়া।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)