সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়িতে সিবিআই, সঙ্গে ছিলেন বন্ধু ও কাজের লোক

গ্রেফতার সিদ্ধার্থ পিঠানি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়িতে সিবিআই তদন্ত। গত সপ্তাহেই সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলা সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবারই মুম্বই পৌঁছে কজ শুরু করে সিবিআই-এর বিশেষ তদন্ত দল। সেদিনই মুম্বই পুলিশের তরফে সুশান্তের যাবতীয় তথ্য যেমন ডাইরি, ফোনসহ বেশ কিছু জিনিস সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয়। তার ফল স্বরূপ তদন্তের দ্বিতীয় দিনই অনেকটা এগিয়ে গেল তদন্ত।

এর সঙ্গে তদন্তের দুই মূল সাক্ষী, তার মধ্যে একজন সুশান্তের বাড়ির কাজের লোক এবং তাঁর বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানীকেও সঙ্গে নিয়ে যায় সিবিআই। বান্দ্রার এই বাড়িতেই সুশান্তকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। এবং প্রথম এই দু’জনই তাঁকে দেখে। সঙ্গে সেই চাবীওয়ালাকেও ডাকা হচ্ছে। টিনি সুশান্তের ঘরের লক খুলতে সাহায্য করেছিলেন বলে দাবি।

সিবিআই-এর সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সাইন্স ল্যাবরেটরির ফটো ও সাইন্টিফিক ডিভিশন ১৪ জুন, যেদিন সুশান্তের মৃত্যু হয়েছিল সেই দিনের ঘটনার অভিনয় করে দেখে।

সিদ্ধার্থ পিঠানীকে আগে সুশান্তের টাকার মামলায় ইডি-র অফিসেও ডাকা হয়েছিল। এক সময় এক ফ্ল্যাটেই সুশান্তের সঙ্গে থাকতেন সিদ্ধার্থ। তাঁর যদিও অনেক পরিচয়, কেউ বলেন, ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার, তিনি নিজেকে অভিনেতা ও ফিল্ম মেকার বলেন। তাঁর দিকেও রয়েছে সন্দেহ।

শনিবার প্রথমেই সিবিআই-এর একটি দল সুশান্তের রাঁধুনীকে দীর্ঘ সময় জেরা করে। প্রথম দিনও তাঁকে জেরা করা হয়েছিল। এই নিয়ে দ্বিতীয় দিন। অন্য স্টাফ মেম্বার এবং বন্ধুদেরও তদন্তের স্বার্থে ডাকা হবে। এর সঙ্গেই সুশান্ত সিং রাজপুতের অটপসি রিপোর্ট নতুন করে দেখবে অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সাইন্সের চার সদস্যের দল।

শুক্রবার সিবিআই-ওর ১০ সদস্যের একটি দল মুম্বই পৌঁছয়। সেদিনই প্রথমে সুশান্তের রাঁধুনীকে জেরা করে সিবিআই। এদিন দ্বিতীয় দফার জেরা হয়। তার আগে শুক্রবার কুপার হাসপাতালেও যায় সিবিআই-এর দল, যেখানে সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছিল। সেখানকার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই। তাদের থেকে সুশান্তের অটপসি রিপোর্টও চাওয়া হয়।

১৪ জুন নিজের বান্দ্রার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সুশান্ত সিং রাজপুতকে। প্রথমে আত্মহত্যার উপরই জোড় দেওয়া হয়। কিন্তু গোটা দেশ সেই তথ্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়। সঙ্গে তথ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতিও দেখা যায়। এর পরই সুশান্তের বাড়ির তরফে বিহার পুলিশে এফআইআর করা হয়। এবং বিহার পুলিশের তরফে শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়।

(বিনোদন জগতের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্ক)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)