গায়িকা সোমলতা ধূপগুড়িতে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে চূড়ান্ত হেনস্থা, দেখুন ফেসবুক লাইভ

গায়িকা সোমলতাছবি সোমলতার ফেসবুক পেজ থেকে।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: গায়িকা সোমলতা ফেসবুক লাইভে জানালেন হেনস্থার কথা। উৎসবের মরসুম। আর এই সময় বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করতে ছুটে যান ছোট-বড় সব শিল্পী। এবং অনুষ্ঠান করতে গিয়ে বার বার হেনস্থা হতে হচ্ছে শিল্পিদের। প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। শুক্রবার ধূপগুড়ির একটি স্কুলে অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলেন গায়িকা সোমলতা। সেখানে গিয়ে রীতিমতো প্রাণ মুঠোয় করে ফিরতে হল তাঁকে ও তাঁর সঙ্গীদের। চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার সোমলতা। উত্তরবঙ্গ পুলিশ এসে শেষ পর্যন্ত মধ্যরাতে তাঁদের উদ্ধার করেন।

কলকাতায় নেমে ফেসবুক লাইভে পুরো ঘটনার কথা জানান সোমলতা। শুক্রবার রাতে ধূপগুড়ির স্কুলে যখন তিনি অনুষ্ঠান করতে উঠেছিলেন তখন প্রায় ১৫ হাজার দর্শক ছিলেন সেখানে। কয়েকটি গান হওয়ার পর থেকেই সেই স্কুলেরই শিক্ষক অর্ণব সাহা মদ্যপ অবস্থায় গায়িকা সোমলতা ও তাঁর দলকে মঞ্চে উঠে বিরক্ত করতে শুরু করেন। তাঁকে বার বার বলা স্বত্বেও তিনি শোনেনি। বরং মঞ্চ থেকে গান শোনা যাচ্ছে না বলে দর্শকদের উসকে দিতে শুরু করেন‌।

এই অবস্থার মধ্যেই অনুষ্ঠান চালাতে থাকেন সোমলতা। প্রায় এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট তিনি মঞ্চে ছিলন সব সমস্যা সহ্য করেও। কিন্তু অর্ণব সাহার উসকানিমূলক কাজ কর্ম চলতেই থাকে। এই অর্ণব সাহা সেই স্কুলের সিক্ষক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবেও দাবি করেছেন। এর পর সেখানে পৌঁছে যায় স্থানীয় পুলিশ। নিজেদের গাড়িতে করে গায়িকা ও তাঁর দলকে ধূপগুড়িতে আঁদের হোটেলে পৌঁছে দেন। কিন্তু সেখানেই শেষ হয়নি ঘটনা।

হোটেলে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার পুলিশের তরফে সোমলতাকে জানানো হয় এখনই ধূপগুড়ি ছাড়তে হবে তাঁদের। সেই রাতেই তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সাথে বেরিয়ে পড়ে। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি পর্যন্ত নিয়ে এসে জলপাইগুড়ি পুলিশের হাতে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়। এবং জলপাইগুড়ি পুলিশ সোমলতাদের বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে দেন। তাঁরা রাত প্রায় ২.৩০টে নাগাদ বিমান বন্দরে পৌঁছন। সোমলতা বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ পুলিশ এভাবে সাহায্য না করলে কী হত আমরা কল্পনাও করতে পারছি না। শুনলাম আমাদের সাহায্য করার জন্য সেই অর্ণব সাহা ধূপগুড়ি পুলিশকেও হুমকী দিয়েছে।’’

সোমলতারা অনুষ্ঠান সেরে ফেরার কিছুক্ষণ পর নাকি দুটো গাড়ি বোঝাই করে তাঁদের ধূপগুড়ির হোটেলে হানা দিয়েছিল অর্ণব সাহা ও তার দলবল। কিন্তু তার আগেই পুলিশ তাদের বের করে নিয়ে চলে গিয়েছিল। যে কারণে ভয়ঙ্কর কোনও বিপদের মুখে তাদের পড়তে হয়নি। সোমলতার বক্তব্য, তিনি স্কুলের নাম খারাপ করতে চান না কিন্তু অর্ণব সাহা সম্পর্কে যেন সবাই সতর্ক হয়ে যান। কলকাতায় নেমে বিমান বন্দর থেকেই তিনি ফেসবুক লাইভে পুরো ঘটনাটি জানান।

(বিনোদন জগতের আরও অনেক খবর পেতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)