সিদ্ধার্থ শুক্লার ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই, হবে ভিসেরা

সিদ্ধার্থ শুক্লার ময়নাতদন্ত

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সিদ্ধার্থ শুক্লার ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছিল বৃহস্পতিবার রাতেই। যা খবর তাতে সেই রিপোর্টে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে প্রভূত জলঘোলা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের পরই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল তাঁর। পরবর্তী তাঁর মৃত্যু নিয়ে উঠতে শুরু করে নানা প্রশ্ন। তখন আর অন্যান্য পরীক্ষা করা সম্ভব ছিল না। সে কারণে আর কোনও কিছু বাদ রাখতে চাইছে না মুম্বই পুলিশ। যদিও সিদ্ধার্থ শুক্লার মৃত্যু আপাত দৃষ্টিতে অস্বাভাবিক নয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার। শুক্রবার তাঁর ভিসেরা পরীক্ষা হতে পারে। এদিনই তাঁর অন্তেষ্টি সম্পন্ন হয়। অন্তেষ্টিতে উপস্থিত ছিলেন শেহনাজ, সিদ্ধার্থের মা, দুই বোন ও তাঁর ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা।

জানা গিয়েছে ময়নাতদন্ত করার পুরো পদ্ধতি ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে। উদীয়মান এই অভিনেতার এই অকাল প্রয়ান মেনে নেওয়াটা কঠিন। তাঁর বন্ধু, পরিবার সকলেই এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না সিদ্ধার্থ আর নেই। বয়স মাত্র ৪০। আর এই বয়সেই শেষ হয়ে গেল একটা ভবিষ্যৎ। সিদ্ধার্থের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন রকমের বক্তব্য উঠে আসছে। কেউ বলছেন, বুধবার রাতে তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে সোসাইটির ভিতরই হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। শরীর খারাপ লাগায় ফিরে যান ঘরে। ওষুধ খেয়ে শুতে চলে যান।

কেউ বলছেন, সেই রাতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বিশেষ বান্ধবী শেহনাজ। কেউ বলছেন, বৃহস্পতিবার শুটিং চলাকালীন শেহনাজ সিদ্ধার্থের মৃত্যুর খবর পান এবং শুটিং বন্ধ করে ফিরে যান। প্রশ্ন উঠছে কেন কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। এই কুপার হাসপাতাল ঘিরে অতীতে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। দিব্যা ভারতী থেকে সুশান্ত সিং রাজপুত, সবাইকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কুপার হাসপাতালে। সিদ্ধার্থকেও কেন সেখানেই নিয়ে যাওয়া হল। তবে এখনই বলা যাচ্ছে না সিদ্ধার্থের মৃত্যু অস্বাভাবিক। কারণ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকদের দাবি, তাঁর মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই।

বৃহস্পতিবার ঘুম থেকে আর ওঠেননি সিদ্ধার্থ। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে তাঁদের পারিবারিক ডাক্তারকেও ডাকা হয়। কিন্তু যা খবর তাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। সিদ্ধার্থ প্রসঙ্গে শেহনাজের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শেহনাজ তাঁর বিশেষ বন্ধু ছিল। তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বের বাইরে কোনও সম্পর্ক নিয়ে তাঁরা কখনও সামনে মুখ খোলেননি। কিন্তু সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া শেহনাজ-সিদ্ধার্থে যুগ্ম ভিডিও বলে দিচ্ছে কতটা কাছাকাছি ছিলেন দু’জনে। যে কারণে তাঁদের নামই হয়ে গিয়েছিল ‘সিদনাজ’। এই কঠিন সত্যি মেনে নেওয়া শেহনাজের পক্ষ্যে কঠিন।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)