Sandhya Mukhopadhyay প্রয়াত, বুধসন্ধ্যায় শেষকৃত্য

Sandhya Mukhopadhyay

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Sandhya Mukhopadhyay প্রয়াত। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা গিয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ৪ অক্টোবর ১৯৩১ সালে। দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ায়। নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এবং হেমপ্রভা দেবীর কন্যা তিনি। মুখোপাধ্যায় দম্পতির ছয় সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ ছিলেন সন্ধ্যা। তিনি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁদের বংশের আদি পুরুষ রামগতি মুখোপাধ্যায় বড় সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন। তাঁর পুত্র সারদাপ্রসাদও গানবাজনার চর্চা করতেন। সারদাপ্রসাদের ছেলে সন্ধ্যার ঠাকুরদা। এঁরা প্রত্যেকেই উচ্চাঙ্গসঙ্গীত নিয়ে চর্চা করতেন। সন্ধ্যার বাবা নরেন্দ্রনাথ ছিলেন কৃষ্ণভক্ত। বাবার কাছেই প্রথম গান শেখা। সন্ধ্যাকে ভক্তিমূলক গান শেখাতেন তিনি। সন্ধ্যার মা-ও গান গাইতেন। নিধুবাবুর টপ্পা ছিল প্রিয়। মায়ের গানে মুগ্ধ হতেন সন্ধ্যা।

সন্ধ্যার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অনেকেই। সন্ধ্যার প্রয়াণে ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ সফরে। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি ভাবতে পারিনি মারা যাবেন। গতকাল রাতে অস্ত্রোপচারের পর খবর এসেছিল। কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। এত তাড়াতাড়ি এমনটা ঘটে যাবে তা বুঝতে পারিনি। আমরা যকৃতের চিকিৎসকে পাঠাব বলে ঠিক করেছিলাম। তখন জানতে পারলাম উনি আর নেই।’’

একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কোভিড থেকে মুক্ত হওয়ার পর সব ঠিক ছিল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত। কী যে হয়ে গেল! উনি স্বর্ণালি সময়ের শিল্পী। সেই যুগের সকলেই চলে গিয়েছেন। উনি ছিলেন। উনিই শেষ সুরের ঝঙ্কার, সুরের স্পন্দন, গানের ইন্দ্রধনু। ওঁর গাওয়া কত গান মনে পড়ছে এখন।’’

টুইটারে প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা স্মরণ করেন রাত ১১টা নাগাদ। মোদী লেখেন, ‘গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমরা মর্মাহত। আমাদের সাংস্কৃতিক জগৎ এখন আরও দীন হল। ওঁর সুরেলা কণ্ঠস্বর আগামী প্রজন্মকে বিমোহিত করতে থাকবে। শিল্পীর পরিবার এবং ভক্তদের এই দুঃখের সময়ে আমার সমবেদনা। ওম শান্তি।’

মমতা একটি শোকবার্তাও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১১ সালে ‘বঙ্গবিভূষণ’, ২০১২ সালে ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ ও ২০১৫ সালে ‘উস্তাদ বড়ে গোলাম আলি বিশেষ সঙ্গীতসম্মান’ প্রদান করে। এ ছাড়া তিনি ভারত নির্মাণ অ্যাওয়ার্ড, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড, বিএফজেএ অ্যাওয়ার্ড-সহ বহু সম্মানে ভূষিত হন। তিনি আমৃত্যু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমির সভাপতিও ছিলেন।’ মমতা জানিয়েছেন, ‘স্বর্ণকণ্ঠী গীতশ্রী সন্ধ্যাদির সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের হৃদ্য সম্পর্ক ছিল। তাঁর মৃত্যুতে আমি আমার অগ্রজাকে হারালাম।’


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)