জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দ্য ফ্যামিলি ম্যান টু বিতর্ক যাই হোক না কেন একবাক্যে সবাই একটাই কথা বলছেন। আর তা হল, ‘রাজি’। যখন থেকে রাজির এন্ট্রি হয়েছে তখন থেকেই সব লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছে দক্ষিণী এই অভিনেত্রী। সৌন্দর্য, গ্ল্যামারকে শিকেয় তুলে যে অভিনয়টা তিনি করেছেন তা সবাইকে পিছনে ফেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। নাম সামান্থা রুথ প্রভু। ডিজিটাল অভিষেকেই বাজিমাত। সামান্থার জন্য এই রাস্তা সহজ ছিল না নিশ্চিত। এক তো চূড়ান্ত ফিটনেস সঙ্গে এক শ্রীলঙ্কান তামিল স্বাধীনতার লড়াইয়ে নিজেকে সঁপে দেওয়া একটি মেয়ে নেমেছেন সুইসাইড মিশনে।
এই পুরো সিরিজে সামান্থার সব স্টান্ট তিনি নিজেই করেছেন। যা দেখলে স্পষ্ট হয়ে যে তাঁর ফিটনেসকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর তাঁকে এই পর্যায়ে তৈরি করেছিলেন ইয়ানিক বেন। তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি ফ্যামিলি ম্যান টু-র রাজি।
সামান্থা লেখেন, ‘‘বিশেষ বিশেষ ধন্যবাদ আমার মানুষ ইয়ানিক বেনকে আমাকে ট্রেনিং দিয়ে সব স্টান্ট নিজে করার মতো তৈরি করে দেওয়ার জন্য। হ্যাঁ সব। সব স্টান্ট নিজে করার জন্য আমাকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সেই সব বেদনানাশক ওষুধকে যখন সারা শরীরে ব্যথা নিয়ে স্টান্ট করতে হয়েছে।’’
তিনি আরও লেখেন, ‘‘উঁচু জায়গায় আমার খুব ভয় ছিল। কিন্তু ওই বাড়ির উপর থেকে লাফিয়ে পড়তে পেরেছিলাম কারণ আমি জানতাম পিছনে তুমি আছ। অনেক অনেক ভালবাসা।’’ তাঁর চরিত্রকে যেভাবে তিনি স্ক্রিনে ফুটিয়ে তুলেছেন তা প্রথম দিন থেকেই প্রশংসা পেয়েছে। সিরিজের পরিচালক থেকে মনোজ বাজপেয়ী, সকলেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে সামান্থার প্রশংসা না করে পারেননি।
এর আগে সামান্থা লিখেছিলেন, ‘‘রাজি চরিত্র আমার কাছে খুব স্পেশাল। যখন রাজ ও ডিকে আঅমাকে এই চরিত্রের জন্য অফার দিয়েছিল তখনই আমি জানতাম এই চরিত্র করতে ভারসাম্য, আবেগ ধরে রাখতে হবে এবং বুঝতে হবে। সব রিভিউ, মন্তব্য দেখে আমি খুব খুশি।’’
দক্ষিণের ছবির অতি পরিচিত মুখ সামান্থা। এক কথায় সুন্দরী, গ্ল্যামারগার্ল বলে খ্যাত। সেই রাজিকেই ওই রূপে দেখে তাঁর ভক্তদের মনে সাময়িক ধাক্কা তো লেগেছিলই। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই হতাশ হয়ে প্রশ্ন করেছিল, ‘‘আমাদের সামান্থাকে কী বানিয়ে দেওয়া হল।’’ কিন্তু তাঁরাও তাঁর অভিনয় দেখে মুগ্ধতাই প্রকাশ করেছে পরবর্তী সময়ে।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)
