রিয়া চক্রবর্তী ইডির জেরার মুখে, জিজ্ঞাসাবাদ স্থগিতের আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট

রিয়া চক্রবর্তীর জামিন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রিয়া চক্রবর্তী হাজিরা দিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে। বৃহস্পতিবারই তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানালেও তা এদিন সকালে নাকচ করে দেওয়া হয়। তার বাবা ও ভাইকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছন ইডির অফিসে। সকাল ১১.৩০-এর মধ্যে পৌঁছনোর ডেডলাইন ছিল রিয়ার। ঠিক তার এক মিনিট পর তিনি সেখানে পৌঁছন।

সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবার এফআইআর-এ রিয়ার পাশাপাশি তাঁর বাবা ইন্দ্রজিৎ ও ভাই সৌভিক চক্রবর্তীর নামও ছিল। রিয়া চক্রবর্তী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন, এই জিজ্ঞাসাবাদ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য।

রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে বলেন, ‘‘রিয়া চক্রবর্তী আইন মেনে চলা নাগরিক। যেটা দেখা যাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়ে দিয়েছে তাঁর আবেদন খারিজ হওয়ার কথা। তিনি সময় মতো ইডিতে হাজিরা দেবে।’’ সেই মতই তাঁকে হাজির হতে দেখা যায়।

সুশান্ত সিং রাজপুতের টাকা হাতানোর জন্য রিয়াকে দায়ী করেছে সুশান্তের পরিবার। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা অপরিচিত এক অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। যাকে সন্দেহজনক আদান-প্রদান হিসেবে গন্য করা হয়েছে। সূত্রের খবর সুশান্তের চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের দুটো থেকে টাকা রিয়ার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। যা সম্পর্কে থাকা কোনও মানুষের পক্ষে অস্বাভাবিক নয়। কারণ তাঁরা একসঙ্গেই থাকতেন। এমনটাও শোনা গিয়েছে রিয়ার পরিবারের সঙ্গে সুশান্ত ও রিয়া একটি সংস্থা শুরু করেচিলেন।

সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু তদন্ত ঘিরে মুম্বই ও বিহার পুলিশের মধ্যে টানটান উত্তেজনারও সৃষ্টি হয়েছে। গোটা দেশ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠছি‌ল কিন্তু মুম্বই পুলিশ তা নিজেদের হাতেই রেখে দিয়েছিল। এর পর মুম্বই থেকে ফিরে বিহার পুলিশ তা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয়। মুম্বইয়ে গিয়ে রিয়ার দেখা পায়নি বিহার পুলিশ। বিহার পুলিশের অভিযোগ মুম্বই পুলিশ তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি।

বিহার সরকারের অভিযোগ মুম্বই পুলিশ রিয়া চক্রবর্তীকে সাহায্য করছে। উল্টে রিয়া তদন্ত বিহার থেকে মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানান। যদিও সুপ্রিম কোর্ট তা মেনে নেয়নি এবং জানিয়ে দেয় বিহার পুলিশের এক্তিয়ার রয়েছে এর তদন্ত করার কারণ সুশান্তের বাবা বিহারের মানুষ। এর মধ্যেই বিহার পুলিশের অফিসার তদন্ত করতে পৌঁছলে তাঁকে কোয়রান্টিন করে দেয় মুম্বই পুলিশ কিন্তু বাকিদের করেনি।

এর মধ্যেই উঠে আসছে সুরজ পঞ্চোলির নাম। সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা ঠিক সুশান্তের মৃত্যুর ছ’দিন আগে একটি বহুতল থেকে পড়ে মারা যান। প্রথমে না মনে হলেও এখন দু’জনের মৃত্যুর মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে সুরজ পঞ্চোলির সঙ্গে দিশা সম্পর্ক ছিল। দিশাও আত্মহত্যা করেছেন বলেই জানানো হয়েছিল। সব মিলে সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলা ক্রমশ জটিল হচ্ছে।

(বিনোদন জগতের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্ক)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)