রিয়া চক্রবর্তী মুখ খুললেন সংবাদ মাধ্যমে, সিবিআই জেরার মুখে তাঁর ভাই

রিয়া চক্রবর্তীসুশান্ত ও রিয়া।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রিয়া চক্রবর্তী মুখ খুললেন একটি চ্যানেলে। এই প্রথম, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর প্রায় আড়াই মাস পর নিজের সপক্ষে বক্তব্য রাখলেন রিয়া চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমমের সামনে। ১৪ জুন সুশান্তের মৃ্ত্যুর পর কুপার হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন রিয়া। তার পর তাঁকে যতবার দেখা গিয়েছে ততবাআর তদন্তের কারণে। শেষ দেখা গিয়েছিল ইডির দফতরে পর পর দু’দিন।

ইতিমধ্যে সিবিআই মুম্বইয়ে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। জেরা করা হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের এবং সুশান্তের বন্ধু ও বাড়িতে থাকা তাঁর কাজের লোক ও রান্নার লোককে। এখনও রিয়া চক্রবর্তীকে সিবিআই ডেকে না পাঠালেও রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এদিন রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি এবং তাঁকে জেরা করা হয়।

বৃহস্পতিবার সৌভিকক ছাড়াও সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে পরিচিত সিদ্ধার্থ পিঠানি ও পরিচারক নীরজকেও জেরা করে সিবিআই। জানা যাচ্ছে ইডি দফতরে হাজির ছিল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর একটি দলও। সম্প্রতি সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু তদন্তে নতুন করে মোর এনেছে ড্রাগের উপস্থিতি। যা নিয়ে তাঁর সাক্ষাৎকারে মুখ খুলতে চাননি রিয়া চক্রবর্তী তদন্তের স্বার্থের কথা বলে।

বৃহস্পতিবার সান্তাক্রুজের যেখানে সিবিআই-এর দলটি রয়েছে সেখানে হাজির ছিলেন সৌভিক, সিদ্ধার্থ ও নীরজ। হতেও পারে সকলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। নীরজ ও সিদ্ধার্থকে প্রথম দিন থেকেই বার বার জেরা করা হচ্ছে।  নতুন করে মাদকের বিষয়টি উঠে আসায় তদন্ত নতুন দিকে মোর নিয়েছে। যার জন্য রক্ত পরীক্ষার মুখে পড়তে হতে পারে রিয়াকে। তিনি তাঁর সাক্ষাৎকারে নিজেই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।

ইডিকে দেওয়া রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদ মাধ্যমে। তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রিয়া। কীভাবে বিশ্বস্ত জায়গা থেকে এই চ্যাট বাইরে এল। যেখানে চায়ের সঙ্গে ড্রা মিশিয়ে খাওয়ানোর কথা উঠে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি রিয়া সুশান্তকে চায়ের সঙ্গে ড্রাগ মিশিয়ে খাওয়াতেন।

রিয়ার সাক্ষাৎকারে তাঁদের ইউরোপ ট্যুরের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। সেখানে পরবর্তী সময়ে যোগ তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন রিয়ার ভাই সৌভিকও। ইউরোপ ট্যুর নিয়ে বলতে গিয়ে রিয়া জানিয়েছেন, বিমানে উঠলে সুশান্তের দম বন্ধ লাগে সে কারণে তিনি একটি ওষুধ খেতেন। তার পাল্টা দিয়ে সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকাআ অঙ্কিতা লোখাণ্ডে সুশান্তের বিমান চালানোর ছবি পোস্ট করেন। সুশান্ত বিমান চালানো শিখেছিলেন এটা সকলেরই জানা।

রিয়া সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ৮ জুন। তাঁর দাবি সুশান্তই তাঁকে চলে যেতে বলেছিলেন। আর সেদিনই সুশান্তের দিদি সেখানে (রিয়ার কথায় যাঁর নাম মিতু) আসেন। তিনি ফিরে যান ১৩ জুন এবং ১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর খবর আসে। রিয়া পাল্টা প্রশ্ন করেন, ৮-১৪ জুনের মধ্যে কী হয়েছিল।

এরকম একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দেন রিয়া। কেন তিনি সুশান্তের দেহের উপর হাত রেখে বলেছিলেন, ‘‘সরি বাবু’’ তারও জবাব দেন তিনি। সুশান্তের বন্ধু সন্দীপ সিংয়ের দিকেও আঙুল উঠছে যাঁকে নাকি চেনেনই না রিয়া, কখনও দেখেননি, শোনেনওনি তাঁর সম্পর্কে। সিদ্ধার্থ পিঠানি সিবিআই-এর কাছে রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন সুশান্তের বাড়ি থেকে হার্ড ড্রাইভ ডিলিট করার। যা অস্বীকার করেন রিয়া। এবার অপেক্ষা তিনি কবে সিবিআই-এর মুখোমুখি হবেন এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর তদন্তের মোর কোন দিকে ঘুরবে।

(বিনোদন জগতের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্ক)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)