সুশান্তের দিদি প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা রিয়া চক্রবর্তীর

সুশান্তের দিদি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সুশান্তের দিদি প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা রিয়া চক্রবর্তী। টানা জেরায় বিপর্যস্ত রিয়া চক্রবর্তী। দ্বিতীয় দিন তিনি নার্কোটিক্সের সামনে হাজিরা দিয়েছেন। তার মধ্যেই সুশান্তের দিদি প্রিয়ঙ্কা সিং-এর বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করলেন রিয়া মুম্বই পুলিশে। তাঁর মতে, সুশান্তের জন্য জালি মেডিক্যাল প্রেসক্রিপশন তৈরি করেছিলেন তিনি এবং তাঁকে অ্যাংজাইটির ওষুধু খেতে দিয়েছিলেন। প্রিয়ঙ্কার পাশাপাশি রাম লোহিয়া মনোহর হাসপাতালের ডাক্তার তরুণ কুমারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন রিয়া। সুশান্তের সঙ্গে তাঁর দিদির হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের ভিত্তিতেই এই কেস দায়ের হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে যখন সুশান্ত মুম্বইতে ছিল তখন কেন তাঁকে দিল্লির ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে ওষুধ দেওয়া হল।

দু’দিন আগেই এই ড্রাগ কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী ও সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা। নাকোর্টিক্সের সামনে জেরায় সৌভিক স্বীকার করে নিয়েছিলেন সুশান্তের জন্য ড্রাগ আনার দায়িত্ব তাঁকে তাঁর দিদিই দিয়েছিলেন। সৌভিক ও স্যামুয়েলের জবাবের উপর ভিত্তি করেই রিয়াকে নাকোর্টিক্সের সামনে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে প্রথম দিন ছ’ঘণ্টা জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। দ্বিতীয় দিন আবার তাঁকে ডাকায় তাঁর গ্রেফতারের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে ওঠে।

রবিবার টানা জেরার পর বাড়ি ফিরে যান তিনি।এক সংবাদ মাধ্যমের সামনে রিয়া বলেছিলেন তিনি কখনও মাদক স্পর্শ করেননি আর তার জন্য তিনি পরীক্ষার সামনে বসতেও রাজি আছেন। রবিবার রিয়ার আইজীবী তাঁর পক্ষে বলেছিলেন, ভালবাসার জন্য রিয়া গ্রেফতার হতেও রাজি আছেন। এ বার পাল্টা সুশান্তের দিদির বিরুদ্ধেও আইনের পথে হাঁটলেন রিয়া।

একদিন আগে রিয়ার বাবা প্রথম মুখ খুলেছিলেন। তিনি ভারতের সাধারণ জনতার দিকে আঙুল তুলে বলেছিলেন, একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে শেষ করে দেওয়া হল। সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা। কখনও জরিয়ে গিয়েছে ইডি তো কখনও নার্কোটিক্স। সিবিআই তো ছিলই। প্রশ্ন উঠেছে মুম্বই পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। এর মধ্যেই সুশান্তের ভিসেরা পরীক্ষার দায়িত্ব তুলে নিয়েছে এইমসের একটি দল।

সেই পরীক্ষার ফল আসতে ১০ দিন সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে। সুশান্তের ভিসেরা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে সেটা পড়ে জানা যায়। সেওটাই পরীক্ষা করছে এইমস। এর থেকে পরিষ্কার হবে সুশান্তের খাদ্যে কোনও বিষক্রিয়া হয়েছিল কিনা বা তাঁর শরীরে কোনও মাদক বা বিষাক্ত কিছু ছিল কিনা। মৃত্যুর কতক্ষণ আগে সেটা দেওয়া হয়েছিল ইত্যাদি। ভিসেরা পরীক্ষার রিপোর্ট এলে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে সুশান্ত মৃত্যু তদন্তের রাস্তা।

এর মধ্যে সুশান্তের বাড়ির পরিচারক এনসিবিকে জানিয়েছেন, তিনি দেখেছেন সুশান্তকে গাঁজা ব্যবহার করতে। তা থেকে আরও পরিষ্কার যে সুশান্ত বিভিন্ন ধরনের নেশার সঙ্গে জরিয়ে পড়েছিলেন। রবিবার সুশান্তের রাঁধুনী দীপেশ সাবন্তকে গ্রেফতার করে নার্কোটিক্স। তবে তাতে হাত ছিল ঋষিকেশ পাওয়ার ও আব্বাস খালুই নামে দুই ব্যাক্তির বলে জানিয়েছেন দীপেশ। তবে দীপেশও যে মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত সেটা বুঝতে পেরেছে নার্কোটিক্স তাই তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়।

(বিনোদন জগতের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্ক)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)