গ্রেফতার রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলার মূল অভিযুক্ত

গ্রেফতার রিয়া চক্রবর্তীরিয়া চক্রবর্তী

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: গ্রেফতার রিয়া চক্রবর্তী । তাঁক ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত দেওয়া হয়েছে। জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। বুধবার আবার জামিনের জন্য আবেদন জানাবে রিয়ার আইনজীবী। সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলার মূল অভিযোগের আঙুল উঠেছিল তাঁরই দিকে। সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনা হয়। তার পর থেকেই চলছে পর পর জেরা ও তদন্ত পর্ব। দু’দিন আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন রিয়ার ভাই সৌভিক, সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল। একদিন পর গ্রেফতার হন সুশান্তের বাড়ির পরিচারক দীপেশ সাবন্ত।

এদিন তিন দিনের জেরার পর নার্কোটিক্সের হাতে মাদকযোগ থাকার কারণে গ্রেফতার হলেন রিয়া। প্রথম থেকেই তিনি বলে আসছিলেন, তাঁর সঙ্গে মাদকের কোনও যোগ নেই। কিন্তু নার্কোটিক্সের কাছে শেষ পর্যন্ত তিনি স্বীকার করতে বাধ্য হন তিনিও ড্রাগ নিতেন।

তার আগেই রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, তাঁর দিদিই তাঁর মাধ্যমে ড্রাগ আনাতেন। এর মধ্যে জরিত ছিলেন স্যামুয়েলও। রিয়ার একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটই সেই তথ্য সামনে এনে দিয়েছিল।

১৯ ঘণ্টা জেরার পর শেষ পর্যন্ত নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জালে রিয়া। মঙ্গলবার জেরার তৃতীয় দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হল।  বিকেল চারটের সময় তাঁকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। সূত্রের খবর তৃতীয় দিন জেরার মুখে রিয়া মেনে নেন যে তিনি মারিজুয়ানা ছাড়াও আরও শক্তিশালী মাদক নিতেন। মনে করা হচ্ছে এই জেরায় বেশ কিঠু বলিউড তারকার নামও বেরিয়ে আসতে পারে।

সম্প্রতি রিয়ার সঙ্গে মাদক নিয়ে স্যামুয়েলের চ্যাট এই মামলাকে নতুন মোর দিয়েছে। সেই থেকেই ইডি ও সিবিআই-এর সঙ্গে এই মামলার তদন্তে জুড়ে যায় নাকোর্টিক্স ব্যুরো।

সৌভিকের সঙ্গে মাদক বিক্রেতা জাইদ ভিলাত্রার যোগাযগ ছিল। তিনিই এই সৌভিক ও স্যামুয়েলকে মাদক সরবরাহ করত। তাঁকে আগেই গ্রেফতার করেছে নাকোর্টিক্স। তাকে গ্রেফতার করার পর তিনি বসিত পরিহারের নাম জানায়। গ্রেফতার হয় সেও। সবার সঙ্গে সবার যোগাযোগের বিষয়টি ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে তদন্তকারীদের সামনে। যার ফল গ্রেফতার রিয়া চক্রবর্তী ।

একদিন আগেই নার্কোটিক্সের জেরার পত তিনি বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে গিয়ে সুশান্তের দিদি প্রিয়ঙ্কা সিং-এর বিরুদ্দে অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগে, সুশান্তের জন্য নকল মেডিক্যাল প্রেসক্রিপশন তৈরি করেছিলেন তিনি এবং তাঁকে অ্যাংজাইটির ওষুধ খেতে দিয়েছিলেন। প্রিয়ঙ্কার পাশাপাশি রাম লোহিয়া মনোহর হাসপাতালের ডাক্তার তরুণ কুমারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন রিয়া। সুশান্তের সঙ্গে তাঁর দিদির হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের ভিত্তিতেই এই কেস দায়ের হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে যখন সুশান্ত মুম্বইতে ছিল তখন কেন তাঁকে দিল্লির ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে ওষুধ দেওয়া হল।

(বিনোদন জগতের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্ক)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)