প্রাচী দেশাই –কে মনে পড়ে, চার বছর নিভৃতবাসে কাটিয়ে ফিরলেন

প্রাচী দেশাই

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্রাচী দেশাই নামটার সঙ্গে সকলেই পরিচিত। সে তিনি সিনেমাহল মুখি হন বা টেলিভিশনের ডেইলিসোপের ভক্ত। প্রাচী দেশাই কিন্তু দুই গজতেই রাজ করেছেন একটা সময়। যদিও সময়টা বেশ কম। তার হঠাৎই একদিন গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন। মানুষের চোখের আড়ালে চলে গেলে ধিরে ধিরে হারিয়ে যায় সব পরিচিতি। সেই মুহূর্তের সঙ্গে মানিয়ে এগিয়ে চলার মতো কঠিন সময় কাটিয়ে আবার সিনেমার মূলস্রোতে প্রাচী দেশাই।

একতা কাপুরের বিখ্যাত সিরিয়াল ‘কসম সে’ দিয়ে শুরু করেছিলেন যাত্রা। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৭। তখনই তাঁকে দেখা গিয়েছিল রাম কাপুরের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করতে। সঙ্গে পাঁচ বছরের বাচ্চার মা। দারুণ সাফল্যের সঙ্গে ওই বয়সে এই ভূমিকাটা মানুষের মনে গেঁথে দিতে পেরেছিলেন প্রাচী। যার ফল সিনেমায় ডাক।

১৯ বছর বয়সে ‘রক অন’ এর জন্য তাঁকে বেছে নেওয়া হয়। ফারহান আখতারের স্ত্রীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সিনেমায় তাঁকে। ‘রক অন’এর সাফল্যের পর পর পর বেশ কিছু ছবিতে ডাক আসতে থাকে। ওই সময় সেই অফার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা কখনও মাথায় আসেনি। সেই সময় পর পর ‘আজহার’, ‘ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বই’-এর মতো সিনেমায় কাজ করেন।

কিন্তু একটা সময়ের পর থেকে তাঁর মনে হতে থাকে তিনি নিজের সঙ্গে ন্যায় করছেন না। তাঁর পক্ষ্যে ওই বয়েসে বলিউডের তাবড় প্রযোজক, পরিচালকদের ‘না’ বলা সহজ ছিল না। কিন্তু তাঁর নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। শেষ পর্যন্ত চার বছরের নিভৃতবাসে নিজেকে নতুনভাবে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা। তাঁর মতে, তাতে তিনি সফল। ‘‘নিজের উপর বিশ্বাস তো ছিলই আর সে কারণেই এই ব্রেক এত দ্রুত নিতে পেরেছিলাম। এবং অপেক্ষা করছিলাম সঠিক কাজের,’’ বলেন প্রাচী।

ভেবেছিলেন তাঁকে হয়তো খুব বেশি তিন মাস বা ছ’মাস অপেক্ষা করতে হবে ভাল কাজের জন্য। কিন্তু তেমনটা হয়নি। তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছে চার বছর। তিনি সেই কাজই করতে চেয়েছিসেন যেটা করে তিনি আনন্দ পাবেন। ওয়েব প্ল্যাটফর্ম সেই সুযোগ তাঁর সামনে এনে দিয়েছে। ‘সাইলেন্স… ক্যান ইউ হিয়ার ইট?’ দিয়ে তাঁর ওটিটি-তে অভিষেক হয়েছে।

সেখানে তিনি পুলিশের ভূমিকায়। আর নিজের চরিত্র নিয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত। তার মতে, এই সুযোগ কয়েক বছর আগে এলেও তিনি করতেন। এতদিন পর পর বড় ব্যানারের যে অফার ছিল না তাঁর কাছে তা নয়। কিন্তু স্ক্রিপ্ট পড়ার পর তা নিঃশব্দে এড়িয়ে গিয়েছেন। তার মধ্যেই এক বছরের লক-ডাউন তাঁর অপেক্ষাকে দীর্ঘায়িত করেছে বলে তিনি মনে করেন। তবে তিনি বলেন, ‘‘সেটা হয়তো ভালই হয়েছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘আমি দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ আমাকে মনে রাখার জন্য। আমি সব সময়ই নিশ্চিত ছিলাম আমি যে কোনও কিছু যা আসবে তাতেই ঝাঁপিয়ে পড়ব না। আমি আলাদা কিছু করার অপেক্ষা করব।’’ এতগুলো বছরে তিনি মনে করেন তিনি অনেকটাই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। অনেকেই বলেছেন তিনি সময় নষ্ট করছেন। কিন্তু নিজে যেটা ভাবছে সেটা টিকে থাকাটাই আসল লড়াই বলে মনে করেন তিনি।

ফারহান আখতারের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করাটাও তাঁর কাছে ছিল বড় প্রাপ্তি। তাঁর কথায় উঠে এসেছে নেপোটিজমও। তবে তিনি তা নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে চাননি। বরং তিনি মনে করেন এটাই সত্যি, ছিল, আছে এবং থাকবে। সেই সত্যিটা মেনেটাই ভাল। কিন্তু তিনি মনে করেন, এখন দর্শক অনেক কিছু নির্ধারিত করে, যেটা খুব ভাল দিক।

আপাতত তিনি জমিয়ে তাঁর কামব্যাপৃক উপভোগ করছেন। কাজ করে খুশি। হাতে এখনও একটা ছবি ও একটি ওয়েব সিরিজ রয়েছে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)