পরীমণি ফের পুলিশি হেফাজতে, আদালতে কেঁদে ফেললেন অভিনেত্রী

জামিন হল না পরীমণিরপরীমণি ফের পুলিশি হেফাজতে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পরীমণি ফের পুলিশি হেফাজতে, বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালত এই নির্দেশ দেয়। আদালতের মধ্যেই এ দিন কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী। পরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তাঁকে একেবারেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এর আগে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ দিন সিআইডি ফের ৫ দিনের রিমান্ডে তাঁকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চায়। শুনানি শেষে আদালত দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। ফলে পরীমণি ফের পুলিশি হেফাজতে-ই।

পরীমণির মামলার শুনানি ছিল বলে আদালত চত্বর কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। এজলাসে নিয়ে যাওয়ার সময়েও দু’জন মহিলা পুলিশ পরীমণির হাত ধরে ছিলেন। পরে আদালত থেকে বেরোনের সময় পরীমণি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘একটা মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’’ তিনি সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানান। তিনি আবারও বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে মামলা দেওয়া হয়েছে, তা ১০০ ভাগ মিথ্যা।’’ এ সব কথা যখন পরীমণি বলছেন, তখন তাঁকে লিফটে ওঠার জন্য জোর করে পুলিশ। পরীমণি চিৎকার করে বলেন, ‘‘আমাকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।’’

গত ৪ অগস্ট ঢাকার বনানীতে পরীমণির বাড়িতে অভিযান চালায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। কয়েক ঘণ্টার অভিযান শেষে র‍্যাব জানায়, পরীমণির বাড়ি থেকে বিদেশি মদের পাশাপাশি আইস ও এলএসডি নামের মাদক পাওয়া গিয়েছে। ওই অভিযোগে বনানী থানায় মামলা দায়ের করে র‍্যাব। সেই মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের যে ধারায় পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রমাণিত হলে তাঁর সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

ওই দিন রাতে যখন পরীমণিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, তখন তাঁর পরনে ছিল লাল-কালো চেক শার্ট, ব্লু জিনস আর সাদা কেডস। পর দিন আদালতে তাঁকে হাজির করলে দেখা যায় একই পোশাক। ৪ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার ফের অভিনেত্রীকে একই পোশাকে দেখা গেল। তাঁর আইনজীবীর দাবি, পরীমণিকে তাঁর আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে পোশাকও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না অভিনেত্রীকে। কাজেই তিনি এক পোশাকে রয়েছেন এত দিন ধরে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)