নুসরত-নিখিল সম্পর্ক নিয়ে অভিনেত্রী বললেন, ‘বিয়ে হয়নি আমাদের’

নুসরত-নিখিল সম্পর্ক

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: নুসরত-নিখিল সম্পর্ক ক্রমশ জটিল হচ্ছিল। তবে বুধবার নুসরতের বয়ানে এক কথায় সব জটিলতাই উধাও হয়ে যাওয়ার কথা। ব্যবসায়ী নিখিলের সঙ্গে ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল অভিনেত্রী নুসরতের। ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করেছিল তুরস্কে। নথিবদ্ধ হয়নি সেই বিয়েও। যে কারণে আইনত এই বিয়ের কোনও নথি নেই। তাই ডিভোর্সেরএ কোনও প্রশ্ন নেই বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন নুসরত। গত ছ’মাস তিনি নিখিলের সঙ্গে থাকেন না। তার মধ্যেই তাঁর আর অভিনেতা যশের সম্পর্ক নিয়ে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। মুখে স্বীকার না করলেও লুকিয়েও রাখেননি তাঁরা সেই সম্পর্ককে। তার পরই নুসরত-নিখিল সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয় নানা কথা। এবার গুঞ্জন নুসরতের মা হওয়ার খবর নিয়ে। সব মিলে নুসরতের এই বয়ান খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। দেখে নেওয়া যাক তিনি কী কী লিখেছেন তাঁর বয়ানে—

১) তুরস্কের বিয়ের আইন অনুযায়ী এই বিয়ের অনুষ্ঠান বেআইনি। আর যেহেতু ভিন ধর্মে বিয়ে সে কারণে বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে হওয়ার কথা যা হয়নি। আইন অনুযায়ী এটা বিয়ে নয় কিন্তু একটা সম্পর্ক বা লিভ-ইন। সে কারণে ডিভোর্সের কোনও প্রশ্নই নেই। আমাদের বিচ্ছেদ অনেকদিন আগেই হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আমি সেটা নিয়ে কোনও কথা বলিনি কারণ আমার ব্যাক্তিগত জীবনকে নিজের কাছেই রাখতে চেয়েছিলাম। সে কারণে আমার বিচ্ছেদ নিয়ে সংবাদ মাধ্য বা যে কেউ যার সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই তারা প্রশ্ন করতে পারে না। এই বিয়ে আইন সম্মত নয় এবং আইনের চোখে এটা বিয়ে নয়।

২) আমার যাদের সঙ্গে সম্পর্ক নেই সে আমার কাজ বা ব্যাক্তিগত কারণে কোনও জায়গায় যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না। আমার সব খরচ সব সময় আমি নিজেই করেছি, কেউ সেটা দাবি করেছে।

৩) আমি এটাও জানাতে চাই প্রথম দিন থেকে আমি আমার বোনের পড়া ও পরিবারের খরচ নিজে উঠিয়েছি কারণ সেটা আমার দায়িত্ব। আমার তেমন কারও ক্রেডিটকার্ড ব্যবহার বা নিজের কাছে রাখার প্রয়োজন নেই যার সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। এর প্রমান রয়েছে।

৪) যে দাবি করে ধনী এবং আমি তাঁকে ব্যবহার করেছি, সে নিজে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা নিত বেআইনিভাবে এবং সেটা করত রাতের অদ্ভুত সময়ে এমনকি বিচ্ছেদের পরও। আমি এই বিষয়টি নির্ধারিত ব্যাঙ্ককে জানিয়েছি এবং পুলিশকেও দ্রুত জানাব। অতীতে পরিবারের সব অ্যাকাউন্ট ওর হাতেই দেওয়া হয়েছিল ওর অনুরোধে এবং আমাদের পরিবারের কারও কাছে ব্যাঙ্ককে কী বার্তা দেওয়া হয়েছে সেই খবর ছিল না। আমার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে আমার অজান্তে টাকা নয়ছয় করেছে ও। আমি এখনও ব্যাঙ্কের সঙ্গে সেটা নিয়ে লড়াই চালাচ্ছি যদি প্রয়োজন হয় প্রমানও দেব।

৫) এ ছাড়া আমার জিনিসপত্র জামা-কাপড়, ব্যাগ এবং গয়না এখনও ওর কাছেই রয়েছে। এটা খুব দুঃখের যে আমার পরিবার, বন্ধু এবং আত্মীয়দের দেওয়া গয়না এবং আমার অনেক কষ্টের তৈরি করা জিনিস বেআইনিভাবে ওরা আটকে রেখেছে।

৬) ধনী হলেই একজন পুরুষের একজন মহিলাকে ছোট করার অধিকার জন্মে যায় না। আমি নিজের পরিচয় নিজে বানিয়েছি নিজের হার্ডওয়ার্ক দিয়ে। সে কারণে যার সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই তাঁকে সেই লাইমলাইট ভাগ করার অধিকার দেব না যা আমার কাজ দিয়ে তৈরি হয়েছে।

৭) আমি আমার ব্যাক্তিগত জীবন বা এমন কারও সম্পর্কে যার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই তা ন‌িয়ে কথা বলি না। যে সব মানুষ নিজেদের ‘সাধারণ মানুষ’ বলে দাবি করে, তাদের সেই সবকে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ না যা তাদের সঙ্গে যুক্ত নয়। আমি সংবাদ মাধ্যমকে অনুরোধ করবভুল মানুষকে প্রশ্ন করা থেকে দূরে থাকুন, যে আমার জীবনের অংশ দীর্ঘদিন ধরেই নেই। সে এক তরফা গল্প বলে আমার ইমেজ নষ্ট করবে সেটা হতে পারে না। আমি সংবাদ মাধ্যমে আমার বন্ধুদের কাছে অনুরোদ করছি এমন মানুষ এবং পরিস্থিতিকে অপ্রয়োজনীয় প্রচার না দিতে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)