দীপিকা-সারা-শ্রদ্ধা-রাকুল প্রীতকে এনসিবির সমন, মাদককাণ্ডে উঠে এসেছে  নাম

দীপিকা-সারা-শ্রদ্ধা-রাকুল

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দীপিকা-সারা-শ্রদ্ধা-রাকুল প্রীতের নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। বলিউড ও মাদকযোগে এই সব তাবড় বড় নামদের সক্রিয় উপস্থিতির প্রমানও চলে এসেছিল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে। তার সঙ্গে এঁদের কাছের কিছু মানুষকে জেরা করে নিশ্চিত হয়ে যান অফিসাররা। তার পরই বুধবার সমন জারি করা হল সকলের নামে। আগামী তিনদিনের মধ্যে হাজিরা দিতে হবে সবাইকে।

যা জানা যাচ্ছে তাতে দীপিকা পাড়ুকোনকে হাজিরা দিতে হবে শুক্রবার। রাকুল প্রীত সিংকে ডাকা হয়েছে বৃহস্পতিবার। সারা আলি খান এবং শ্রদ্ধা কাপুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে শনিবার। ফ্যাশন ডিজাইনার সিমন খামবাট্টাও বৃহস্পতিবার ডাকা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

এর সঙ্গে দীপিকা পাড়ুকোনের ব্যবসায়িক ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশকেও শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহার হোয়াচসঅ্যাপ চ্যাটে ‘ডি’ ও ‘কে’-র সূত্র ধরেই উঠে আসে দীপিকার নাম। যাঁদের সঙ্গে মাদক নিয়ে কথা হয়েছে। জয়া সাহাকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনসিবি।

সোমবার রাতে হঠাৎই দীপিকা পাড়ুকোনের নাম ঘিরে শুরু হয় জল্পনা। তার আগেই উঠে এসেছিল সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কাপুর ও রাকুল প্রীত সিংয়ের নাম। বলিউডের এই নায়িকাদের তলব করা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। যা বুধবার করে দিল এনসিবি।

মঙ্গলবার সুশান্তের প্রাক্তন ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এনসিবি নিশ্চিত হয়ে যায় অনেকের বিষয়ে। তিনি জানান, তিনিই শ্রদ্ধা, রিয়া ও সুশান্তকে বিশেষ মাদক জোগান দিয়েছিলেন। রিয়ার বয়ানে উঠে এসেছিল সারা ও রাকুলের নাম। তাঁর অভিযোগ ছিল কেদারনাথ ছবির শুটিংয়ের সময়ই মাদকাশক্ত হয়ে পড়েন সুশান্ত। সেই ছবির নায়িকা ছিলেন সারা।

সারার সঙ্গেও সুশান্তের সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। সারার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পরই রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জরান সুশান্ত। রিয়া ও তাঁর ভাই আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন মাদক কাণ্ডে। এখনও পর্যন্ত এনসিবির হাতে ১৫ জন গ্রেফতার হয়েছে মাদকযোগে। জামিনের আর্জি জানালেও রিয়া ও তাঁর ভাই সৌভিককে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জেলে কাটাতে হবে।

১৪ জুন নিজের বাড়িতেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে। এর পর মুম্বই পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সুশান্তের পরিবারের তরফে বিহার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। পুরো অভিযোগই ছিল রিয়ার বিরুদ্ধে। বিহার পুলিশ মুম্বই পুলিশের থেকে কোনও সাহায্য না পাওয়ায় মামলা যায় সিবিআই-এর হাতে। তার পর থেকেই প্রথমে ইডি তার পর সিবিআই ও এখন নার্কোটিক্স তদন্ত চালাচ্ছে পুরো মামলার। সব থেকে বেশি সাফল্য পেয়েছে নার্কোটিক্স।  সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত করতে গিয়ে মাদকযোগে জরিয়ে পড়েছে গোটা বলিউড।

(বিনোদন জগতের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্ক)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)