অভিনেত্রী নন্দিতা দাস এ বার #মিটু বিতর্কের কেন্দ্রে, তবুও সমর্থন করে যাবেন সেই মেয়েদের

অভিনেত্রী নন্দিতা দাস

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অভিনেত্রী নন্দিতা দাস #মিটু বিতর্কের শুরু থেকেই অভিযোগকারিনীদের পক্ষে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ার কথাও বলেছিলেন এই অভিনেত্রী। আর তার মধ্যেই সেই বিতর্কে নাম জড়িয়ে পড়েছে তাঁরই বাবা-র। এই অবস্থায় বেশ কিছুদিন চুপ থাকার পর আবার মুখ খুললেন নন্দিতা দাস

বিখ্যাত চিত্রকর যতীন দাসের বিরুদ্ধ সম্প্রতি মুখ খুলেছেন একজন কাগজ প্রস্তুতকারী সংস্থার মালকিন। ১৪ বছর আগের এক ঘটনার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, যতীন দাস তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছিলেন। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই সেই অভিযোগকে ‘নোংড়া’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন নন্দিতা দাসের বাবা।

মঙ্গলবারর নিজের ফেসবুক পোস্টে নন্দিত দাস স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর বাবার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তাঁকে অনেটাই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। কিন্ত নিজের জায়গা থেকে তিনি কোনওভাবেই সরছেন না। তিনি যেভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালাচ্ছিলেন সেই সব মেয়েদের সঙ্গে যাঁরা শ্লীলতাহানি বা নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন, সে ভাবেই চালিয়ে যাবেন। তবে, তিনি সবাইকে সাবধান করেছেন, এই বলে যে মহিলারা অভিযোগ করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিক তিনি কী করতে চলেছেন।

#মিটু বিতর্কে এমজে আকবর আবার কাঠগড়ায়

সোশ্যাল মিডিয়ায় নন্দিতা লিখেছেন, ‘‘#মিটু আন্দোলনের প্রথম থেকে যেভাবে সমর্থন করে এসেছি সেভাবেই করে যাব। আমার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাকে অস্বস্তিতে ফেললেও। যদিও বাবা তা মেনে নেননি।’’ এর সঙ্গে তিনি জুড়ে দেন, ‘‘আমি শুরু থেকেই এটা মেনে এসেছি, এটাই সময় আমাদের শোনার। যাতে মহিলারা নিজেদের কথা বলার আগে নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারে। পাশাপাশি এটাও গুরুত্বপূর্ণ, অভিযোগ করা আগে যেন নিশ্চিত হয়ে নেয় সবাই যাতে আন্দোলনটা মাঝ পথে থেমে না যায়।’’

নন্দিতা দাস বিশ্বাস করেন সত্যি একদিন সামনে আসবেই। যতীন দাস এই বিতর্কের নতুন চরিত্র। অভিযোগকারিনী নিশা বোরা টুইটারে তাঁর অভিযোগের কথা জানান। ঘটনার কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি জানান, তখন তাঁর ২৮ বছর বয়স। এক ডিনারের অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে যতীন দাসের দেখা হয়। তখনই যতীন দাস নিশাকে কয়েক দিনের জন্য তাঁর কাজের জিনিসপত্র গুছিয়ে দিতে সাহায্য করার কথা বলেন।  নিশা রাজি হয়ে যান। কাজ চলছিল যতীন দাসের খিড়কী ভিলেজ স্টুডিওতে।

নিশা লেখেন, ‘‘ও আমাকে জাপটে ধরার চেষ্টা করে। আমি হাত ছাড়িয়েএ পালানোর চেষ্টা করি। ও আবার ধরার চেষ্টা করে। আমিই ওকে ধাক্কা দিয়ে বেরিয়ে যাই। সেই সময় ও বলছিল, ‘এসো, এটা ভাললাগবে’ এমন ধরণের কিছু। ওকে ধাক্কা দেওয়ায় ও খানিকটা চমকে গিয়েছিল। আর তখনই আমি আমার ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। তার পর থেকে এ নিয়ে আর কোনও কথা বলিনি।’’

পদ্মভূষণ পুরস্কারপ্রাপ্ত যতীন দাস পিটিআইকে বলেন, ‘‘আমি অবাক। কী হচ্ছে আজাল। কেউ কিছু করছে আর কেউ অভিযোগ করছে। আমি ওকে চিনি না। কখনও দেখাও হয়নি। আর যদি কারও সঙ্গে কোথাও দেখা হয়ে থাকে তা হলে কেউ এমন ব্যহার করতে পারে না। এটা খুব নোংড়া।’’

এর সঙ্গে তিনি জুড়ে দেন, ‘‘একটা খেলা চলছে। কোনও মানুষ সত্যিই এমন ঘটিয়েছে আর কেউ মজার জন্য অভিযোগ এনে যাচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, এ দিন নতুন করে এমজে আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। নন্দিতা দাসের বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ কোথায় গিয়ে থামবে তা সময়ই বলবে।