Manjusha Niyogi Death: বাংলা মডেলিংয়ে আরও এক মৃত্যু

Manjusha Niyogi Death

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বিদিশার মৃত্যুর দু’দিনের মধ্যেই মৃত্যু হল মঞ্জুষা নিয়োগীর (Manjusha Niyogi Death)। তিনি বিদিশারই বান্ধবী। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। তাঁর পাটুলির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুর পর থেকেই হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন তিনি। ভেঙে পড়েছিলেন। ৬ মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল তাঁর। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি থেকে পাটুলিতে নিজের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে রাতেই আত্মঘাতী হন তিনি। সকালে ডাকাডাকির পর দরজা না খুললে ভেঙে ঘরে ঢুকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

পর পর মৃত্যু বাংলা মডেলিং তথা অভিনয় দুনিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কেন এত আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। মঞ্জুষা পড়াশোনায়ও ভাল ছিলেন। দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে বায়োসায়েন্স নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন মঞ্জুষা। সঙ্গে থিয়েটারে অভিনয়ও করতেন। সেখান থেকেই টলিউডে পা রাখেন। ৬ মাস আগে বিয়েও করেন। তার পরও কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

ছোট ছোট চরিত্রে কাজ করছিলেন। যা নিয়ে খুশি ছিলেন না তিনি। তেমনভাবে বড় কাজও আসছিল না। সেটাও তাঁকে হতাশায় ডুবিয়ে দিচ্ছিল। মঞ্জুষার মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে বিদিশার খুব ভাল বন্ধু ছিলেন। সারাক্ষণ নাকি বিদিশারই কথা বলতেন। তাঁর মা-র অভিযোগ, মেয়ের আত্মহত্যার জন্য দায়ী তাঁর লোভ, বড় হওয়ার লোভ। তাঁর বক্তব্য যাঁরা গত কয়েকদিনে আত্মহত্যা করেছেন তাঁদের সকলেরই এই সমস্যা ছিল। পয়সার জন্য ওঁরা সব ভুলে গিয়েছিল বলে দাবি তাঁর।

তবে মেয়ের আত্মহত্যার জন্য তিনি কোনওভাবেই জামাইকে দায়ী করতে রাজি নন। বরং মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী মেয়ে নিজেই। একমাসে তিনটি মৃত্যু রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে। প্রথমে পল্লবী দে-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে। তার তদন্ত চলছে। গ্রেফতার করা হয়েছে পল্লবীর বয়ফ্রেন্ডকে। তার মধ্যেই বুধবার নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে একইভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বিদিশাকে। আর এদিন মঞ্জুষা।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক)