#মিটু বিতর্কের জের: ইন্ডিয়ান আইডল ১০-এ আর দেখা যাবে না অনু মালিককে

#মিটু বিতর্কের জের#মিটু বিতর্কের জের

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: #মিটু বিতর্কের জের, ইন্ডিয়ান আইডলের জুরি প্যানেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সঙ্গীতকার অনু মালিককে। ওই শোয়ের  বিচারকের আসনে তাঁকে আর দেখা যাবে না। ওই রিয়্যালিটি শো যে চ্যানেলে হয়, সেই চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে তেমনটাই জানিয়েছেন বলে খবর।

ইন্ডিয়ান আইডল ১০-এ অনু মালিকের সঙ্গে সহ-বিচারক হিসাবে দেখা যেত নেহা কক্র এবং বিশাল দাদলানিকে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই দু’জনের সঙ্গে সঙ্গীত জগতের নামী ব্যক্তিত্বদের নিয়ে আসা হবে রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারক হিসাবে। শো পূর্ব নির্ধারিত স্কেডিউল মেনেই চলবে। শুধু দেখা যাবে না অনু মালিককে।

#মিটু বিতর্কের শুরু থেকেই অনু মালিকের নাম শোনা যাচ্ছিল। একাধিক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। বেশ কয়েক বার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে বলিউডের ওই সঙ্গীত পরিচালকের বিরুদ্ধে। সে কারণে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে ইন্ডিয়ান আইডল শোয়ের। এমনটাই মনে হয়েছে সোনি কর্তৃপক্ষের। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১০-এর বিচারকের পদে আর রাখা হবে না অনু মালিককে।

শবরীমালা মন্দির: আজও ঢুকতে পারলেন না মহিলারা

অনু মালিকের বিরুদ্ধে প্রথম মুখ খোলেন সঙ্গীতশিল্পী সোনা মহাপাত্র। ওড়িশার ওই গায়িকার অভিযোগ ছিল, তাঁর স্বামীর সামনেই অনু মালিক সোনাকে অশালীন শব্দে সম্বোধন করেছিলেন। অনুকে তিনি ‘সিরিয়াল শিকারি’ তকমা দিয়ে জানান, উনি সর্বদা মহিলাদের হেনস্থা করার জন্য ওত পেতে থাকেন।

সোনার পর অনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন শ্বেতা পণ্ডিত। পণ্ডিত যশরাজের নাতনি শ্বেতার অভিযোগ, তাঁর যখন ১৫ বছর বয়স, সেই সময় মুম্বইয়েরই একটি রেকর্ডিং স্টুডিওয় তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিলেন অনু। জোর করে চুমুও খেয়েছিলেন।

তবে, অনুর বিরুদ্ধো আরও ভয়ানক অভিযোগ তোলেন অন্য দুই মহিলা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দু’জন একটি পত্রিকায় তাঁদের বয়ান লিখেছেন। এক জন জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে নব্বইয়ের দশকে অশালীন আচরণ করেছিলেন অনু মালিক। নিজের বাড়িতে অনু ডেকে এনেছিলেন ওই মহিলাকে। তার পর তিনি বুঝতে পারেন, সেই সময় অনুর বাড়িতে তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না। পরে বুঝতে পারেন। কিন্তু, তার আগেই অনু মালিক জোর করে তাঁর স্কার্ট খুলে দেন। নিজের প্যান্টও খোলেন। সেই সময় বাড়ির কলিং বেল বেজে ওঠায় সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। এই ঘটনার পর অনু মালিক ক্ষমা চেয়ে নেন ওই মহিলার কাছে। তবে মুখ খুললে পরিনাম যে খুব খারাপ হবে সেই ব্যাপারে অভিযোগকারিণীকে হুমকিও দিয়েছিলেন অনু মালিক।

আর এক মহিলা অভজানিয়েছেন, মুম্বইয়ের এক রেকর্ডিং স্টুডিওতেই তাঁর যৌ‌‌‌ন হেনস্থা করেন অনু মালিক। অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, রেকর্ডিং স্টুডিও সাউন্ডপ্রুফ হওয়ায় অত্যন্ত ভয় পেয়ে গেছিলেন তিনি। কারণ বাঁচার তাগিদে চিৎকার করলেও কেউ তা শুনতে পেতেন না। শেষে যদিও তাঁকে ছেড়ে দেন অনু মালিক।