সেফ হোম তৈরি করলেন যিশু সেনগুপ্ত, পাশে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত-দেবাশিস কুমার

সেফ হোম তৈরি করলেন যিশু সেনগুপ্ত

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: সেফ হোম তৈরি করলেন যিশু সেনগুপ্ত আর তাঁর এই শুভ উদ্যোগে পাশে পেয়ে গেলেন অনেককেই। অনেকদিন ধরেই মনে মনে ভাবনাটা শুরু হয়েছিল। কোভিড আক্রান্তদের জন্য পথে নেমে কাজ করতে চাইছিলেন। চেষ্টা করছিলেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। কিন্তু কীভাবে? সেটা ভাবতে ভাবতেই মাথায় এ‌ল সেফ হোমের ভাবনাটা। টাকা, খাবারসহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে গোটা সমাজ, পুরো বাংলা। সেখানে আরও একটু এগিয়ে ভাবছিলেন এই অভিনেতা। কিন্তু শুরুতে বার কয়েক ধাক্কা খেতে হলেও শেষ পর্যন্ত সাফল্য এল। আর তাতেই খুশি যিশু।

প্রস্তুতি প্রায় শেষ, সব ঠিক থাকলে মঙ্গলবার থেকেই কাজ শুরু হয়ে যাবে এই সেফ হোমে। যেখানে রয়েছে ২০টি বেড। সঙ্গে অক্সিজেনের ব্যবস্থাও। রোগীদের খাবার আসবে এই সেফ হোমের ক্যান্টিন থেকেই। যেটা বড় স্বস্তির, বাড়ি থেকে খাবার বয়েও আনতে হবে না আত্মীয়দের। রবিবার সেফ হোমের পুরো ব্যবস্থা ঘুরে দেখলেন যিশু। সেখানেই জানালেন কীভাবে এই কাজ সাফল্য পেল।

যিশু বলছিলেন, ‘‘মাথায় অনেকদিন ধরেই ঘুরছিল বিষয়টা। কিন্তু কীভাবে করব বুঝতে পারছিলাম না। তার উপর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সঠিক একটা জায়গা পাওয়া টা বেশ কঠিন। আমার এই পুরো ভাবনা-চিন্তাটা আমি ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তকে জানাই। ও উৎসাহ দেয়। তার পরই আমাদের বাড়ি খোঁজা শুরু হয়। কিন্তু লেক গার্ডেন্সের আশপাশে কোনও বাড়ির সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার পই আমি যোগাযোগ করি দেবাশিস কুমারের সঙ্গে। তাঁর উদ্যোগেই পুরো কাজটি সফল হল।’’

রাসবিহারীর নতুন তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমার আবার অভিনেত্রী দেবলীনা কুমারের বাবা। মেয়ের মাধ্যমেই তাঁর কাছে বার্তা যায় বলে জানিয়েছেন দেবাশিস কুমার স্বয়ং। এদিন তিনিও উপস্থিত ছিলেন সেফ হোমে। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে আমাকে বলে যিশু এমন একটা কিছু করতে চাইছে তুমি একটু সাহায্য করে দিতে পারবে? আমি একটু সময় চেয়ে নিই। খুঁজে এই বাণীচক্রের স্কুল বাড়িটি পেয়ে যাই। এই পরিস্থিতিতে সবাই এক সঙ্গে কাঁধ কাঁদ মিলিয়ে কাজ করলেই করোনাকে পরাস্ত করা যাবে।’’

যিশু বলেন, দেবাশিস কুমারের সঙ্গে যখন তাঁর ফোনে কথা হয় তখন তিনি ১-২ দিন চেয়ে নেয় তাঁর কাছ থেকে। কিন্তু পর দিন সকালেই সুখবরটি দেন দেবাশিস কুমার। যিশু ব‌লেন, ‘‘পরদিন সকালে উনি ফোন করে বলেন, বাণীচক্র স্কুলটা ফাঁকা রয়েছে। সেখানেই সেফ হোম করা যেতে পারে। ওটা আমারই পুরনো পাড়া।’’ এবার কাজ শুরু হওয়ার অপেক্ষায় যিশু সেনগুপ্ত অ্যান্ড টিম। আপাতত ২০ বেড নিয়েই এগোবে সেফ হোম। পরবর্তী সময়ে তা বাড়ানো হবে কিনা তা নিয়ে কিছু এখনও ভাবা হয়নি।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)