রিয়েলিটি শো নাকি শুধুই ব্যবসা, প্রশ্ন উঠছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে

রিয়েলিটি শো

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রিয়েলিটি শো নাকি শুধুই ব্যবসা? এ এক অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রিয়েলিটি শো নিয়ে। বিশেষ করে গানের রিয়েলিটি শো নিয়ে পর পর অভিযোগ উঠে আসছে। যে সততা বা সঠিক বিচার নিয়ে এবারের বাংলা সারেগামাপা-এর ফলের পর প্রশ্ন উঠেছিল তাকে যেন বার বার প্রতিষ্ঠা করছে বিখ্যাত কিছু মানুষের বক্তব্য। রিয়েলিটি শো-এর ফল নিয়ে সব সময়ই বিতর্ক কম-বেশি দেখা দিয়েছে। কিন্তু এই মরসুমের বাংলা সারেগামাপা ঘিরে যে বিতর্ক যা নিয়ে গোটা বাংলার শ্রোতারা একদিকে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। কলকাতা থেকে ২৪ পরগনা, কোচবিহার থেকে বর্ধমান, হাওড়া থেকে হাবড়া সকলেই একমত ছিল এবারের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ভুল।

যা নিয়ে তার পর সেই শো-এর বিচারক থেকে শুরু করে মেন্টর সকলেই মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। কেউ একটু ঠান্ডা গলায়, তো কেউ উচ্চস্বরে। কেউ বিনয়ের সুরে, কেউ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে। কিন্তু এই প্রশ্নটা নিয়ে কেউ ভাবেননি কেন গোটা বাংলার শ্রোতারা একদিকে দাঁড়িয়ে গেল। বা ভেবেছিলেন হয়তো কিন্তু কিছু করার ছিল না। অমিত কুমার, বা আরও অনেকের মতো হয়তো বাধ্য ছিলেন তাঁরাও। এই সব রিয়েলিটি শো-এর পিছনে কী কাজ করে তা নিয়ে একদিন আগেই মুখ খুলেছিলেন অভিজিৎ সাবন্তও। তিনিও এই এই রিয়ালিটি শো-এর অংশ ছিলেন এক সময়। তাঁর মতে, এখন পরিস্থিতি বদলেছে।

বাংলার বিতর্ক থেমেছে আপাতত। তবে নতুন বিতর্কে ইন্ডিয়ান আইডল ১২। কিছুদিন আগেই অমিত কুমার সেই শো-এর বিশেষ অতিথি হয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেদিন ছিল কিশোর কুমার শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্ব। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ টাকা দিয়েছিল তাই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের কথা মতো যা মন্তব্য করার করেছিলেন। কিন্তু সত্যিটা ঠিক তা ছিল না। তাঁর মন্তব্যের পর নেট মাধ্যমে ঝড় ওঠাটাই স্বাভাবিক।

তিনি পরবর্তী সময়ে জানান, তাঁর কোনও প্রতিযোগীর গান ভাল লাগেনি। কিন্তু তাঁকে বলা হয়েছিল সকলের প্রশংসা করতে হবে। তাই তিনি বাধ্য হয়েই সবার মিথ্যে প্রশংসা করেছিলেন। এবার পালা ছিল কুমার শানুর। তিনি গিয়েছিলেন, ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন সঞ্চালক আদিত্য নারায়ণ। জানতে চান তিনি আদৌ মন থেকে প্রশংসা করছেন কিনা। যাতে সম্মতি জানান কুমার শানু। তিনি জানান, কোনও চাপে পরে তিনি কিছু করেন না বা লোক দেখানো কিছু করেন না। এবং প্রত্যেক প্রতিযোগী তাঁকে মুগ্ধ করেছে।

একদিন আগেই অভিজিৎ সাবন্ত অন্য অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর মনে হয় নির্মাতারা গানের প্রতিভার থেকে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশি আগ্রহী এবং তাঁদের স্ট্রাগলের ছবি তুলে ধরে জনপ্রিয়তা বাড়াতে চায়। তিনি বলেন, ‘‘আজকাল নির্মাতারা প্রতিযোগীদের প্রতিভা দেখে না বরং তাঁরা কতটা গরিব, জুতো পালিশ করতে পারে কিনা, সেটাতেই বেশি নজর দেয়।’’ যদিও তিনি আঞ্চলিক রিয়েলিটি শো-এর প্রশংসা করেছেন এদিক থেকে।

এই বিতর্ক সত্যিই বিখ্যাত হয়ে যাওয়া একাধিক রিয়েলিটি গানের শো-এর জন্য অশনী সঙ্কেত। এ বাংলা সারেগামাপা হোক বা ইন্ডিয়ান আইডল—এবছর যেন বিতর্কটা একটু বেশিই হচ্ছে। সাধারণ মানুষ কি তাহলে অনেকবেশি সময় দিচ্ছে এই সবের পিছনে কারণ করোনা আতঙ্ক, লকডাউনে বেশিরভাগ সময়ই মানুষের কাটছে বাড়িতে। তাই টিভির সামনেই কাটছে অনেকটা সময়। যা টিআরপি বাড়ালেও খ্যাতিতে আঘাত হানছে। এর পর দর্শকরা এই শো-গুলোকে এত ভালবাসা দেবে তো?

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)