ইমন চক্রবর্তী আবার বিতর্কে, এবার ত্রাণ বিলি করে পড়লেন প্রশ্নের মুখে

ইমন চক্রবর্তী

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ইমন চক্রবর্তী, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা। তাঁর ‘তুমি যাঁকে ভালবাসো…’ গান মুগ্ধ করেছিল আপামর সঙ্গীতপ্রেমীদের। কিন্তু সম্প্রতি তিনি গান ছাড়া আর যাই করতে যাচ্ছেন তাতেই ট্রোলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। সে বিয়ের পর শাখা-সিঁদুর পরা হোক বা ত্রাণ বিলি। সব কিছু নিয়েই নেটাগরিকদের বক্র মন্তব্য তাঁকে শুনতেই হচ্ছে। আসলে সময়টাই খারাপ যাচ্ছে। কোথায় নতুন বিয়ে পর জমিয়ে বড়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করবেন বা প্রিয় ছাত্রের প্রথম হওয়ার পর জমিয়ে উপভোগ করবেন সাফল্য—কোনওটাই পারছেন না।

সম্প্রতি বিনোদন জগতের মানুষরা এগিয়ে এসেছে নানা কাজে। শুরুতে সেটা ছিল কোভিড আক্রান্তদের জন্য বিভিন্নভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। কার অক্সিজেন লাগবে, কার বাড়িতে খাওয়ার পৌঁছে দিতে হবে, কাকে হাসপাতালে বেড পাইয়ে দিতে হবে, কার অ্যাম্বুলেন্স লাগবে এবং সব থেকে বড় কোভিড রিলিফ হোমও তৈরি করেছেন অনেকেই। বাংলার মানুষদের কোভিড থেকে সামলে উঠতে কোমর বেঁধে নেমেছে টলিপাড়া।

না কাউকে খুব একটা ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয়েছে শুনিনি। পরমব্রতরা এই মুহূর্তে হাত লাগিয়েছেন ইয়াসের ত্রাণেও। সেই কাজে নেমেছেন ইমন চক্রবর্তীও। কিন্তু তাঁকেই পড়তে হয়েছে নিন্দুকদের প্রশ্নের সামনে। সম্প্রতি তিনি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রাণ বিলি করতে গিয়েছিলেন। সেই ত্রাণ বিলির ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছিলেন। আর তাতেই প্রশ্নের মুখে তিনি।

অনেকেরই প্রশ্ন ত্রাণ বিলি করে সেটা দেখানো কি ভোটে জেতার জন্য? নিজেই সে কথা জানিয়েছেন ইমন। রবিবার ফেসবুকে ইমন চক্রবর্তী একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আমি একজন সঙ্গীত শিল্পি। গত এক বছরে হাতে গুনে ১০টি শো করেছি। আমার মতো সব শিল্পিরই প্রায় এক অবস্থা। তা ঠিক আছে। চলে যাচ্ছে। এই যে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ত্রাণ দেওয়ার ছবি, ভিডিও দেখে যাঁদের মনে হচ্ছে  নিজের প্রচার করছি বা ভোট দাঁড়ানোর কার্যক্রম শুরু করছি বা টাঁরা প্রত্যেক মুহূর্তে অশালিন কথা বলে চলেছেন তাঁদের একটা কথা বলি।’’

তিনি আরও লেখেন, ‘‘আপনাদের প্রত্যেকটা খারাপ কথা কিন্তু আমাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমি কিন্তু পিছিয়ে যাচ্ছি না। আর যাবও না। অনেক ধন্যবাদ যাঁরা আমার এই প্রচার দেখে দান করেছেন। আপনাদের জন্য প্রায় ৩ হাজার মানুষ খেতে পেয়েছেন একবেলা হলেও। ভাল রাখাটা একটা আর্ট। ওটা সবাই পারে না। আমি মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাদের যাঁরা পাশে আছেন।’’


এর আগে বিয়ের পরই তাঁর শাখা-পলা না পরা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নেটাগরিকরা। এক অনুষ্ঠানে তাঁর শাঁখা-পলা, সিঁদুরহীন ছবি পোস্ট করে আক্রমণ করা হয়েছিল। তার পর থেকে তাঁকে যতবারই দেখা গিয়েছে ততবারই একেবারে বাঙালি বধুর মতো সব পরে। বিশেষ করে সারেগামাপা-র মঞ্চে তো বটেই।

এর পর সারেগামাপা চ্যাম্পিয়ন হন ইমনের দলের প্রতিযোগী। গোটা নেটমাধ্যম প্রায় সেই সময় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। ইমনের বিরুদ্ধে টাকা খাইয়ে তাঁর দলের প্রতিযোগীকে চ্যাম্পিয়ন করারও অভিযোগ উঠেছিল। তার পর কড়া ভাষায় তিনি তাঁর প্রতিবাদও করেছিলেন। কিন্তু বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়েনি। আবারও নতুন বিতর্কে তিনি। এক কথায় বাংলা সঙ্গীত জগতের বিতর্কীত চরিত্র বলা যেতেই পারে তাঁকে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)