হাউজ দ্য জোশ… শুধু একটা লাইন নয়, একটা আবেগ, কী ভাবে এল?

হাউজ দ্য জোশ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হাউজ দ্য জোশ…  সত্যিই শুধু একটা লাইন নয় আর। এটা এখন দেশের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। সে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হন বা ভারতীয় ক্রিকেট দল। সাধারণ মানুষের কথা তো ছেড়েই দিলাম। বুকের ভিতর যখন কোনও আবেগ টগবগ করে ফুটতে শুরু করে তখন এই লাইনটাই গলার কাছে এসে ছটফট করে, হাউজ দ্য জোশ। কিন্তু কোথা থেকে এল এই লাইন? এই লাইনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যোগটা কোথায়? সিনেমার পরিচালক আদিত্য ধর নিজেই সেই কথা জানিয়েছেন। জানিয়েছেন, কী ভাবে এই একটা লাইন জড়িয়ে রয়েছে তাঁর ছোটবেলার আবেগের সঙ্গে। যা তিনি এতদিন পর ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন গোটা দেশে। এটাই হয়তো সাফল্য।

উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছুঁয়ে ফেলেছ মানুষের ম‌ন। আদিত্য ধর ছবির পরিচালক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিপ্ট লেখার সঙ্গেও ভীষণভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনিই পিটিআইকে জানিয়েছেন কী ভাবে এই লাইন এল তাঁর জীবনে।

আদিত্য বলেন, ‘‘আমার বেশ কিছু বন্ধু ছিল যারা সেনাবাহিনীর পরিবার থেকে ছিল। তাদের সঙ্গে আমি প্রায়ই বিভিন্ন আর্মি ক্লাবে যেতাম। দিল্লিতে এমনই একটি আর্মি ক্লাব ছিল। যেখানে বড়দিন এবং নিউইয়ারের পার্টিতে যাওয়া হত। সেখানে অবসরপ্রাপ্ত এক ব্রিগেডিয়ার ছিলেন। তিনি বাচ্চাদের তাঁর সামনে একলাইনে দাঁড় করাতেন এবং তাঁর হাতে চকোলেট থাকত। উনি চিৎকার করে বলতেন ‘হাউ ইজ দ্য জোশ?’ আর আমরা বলতাম ‘হাই স্যার!‘ সব থেকে বেশি জোরে যে বলতে পারত তার ভাগ্যে চকোলেট জুটতো। খাদ্যরসিক হওয়ায় আমিই সব থেকে বেশি জোরে চিৎকার করতাম আর সব সময় আমিই চকোলেট পেতাম।’’

মণিকর্নিকা নিয়ে বিতর্ক চলছেই, সব তির কঙ্গনা রানাওয়াতের দিকেই

সেই ছোটবেলা থেকে এই লাইনটা তাঁর জীবনের একটা অংশ হয়ে গিয়েছে। আর এই আইন ব্যবহার করার জন্য ‘উরি’ই ছিল সেরা মঞ্চ। আদিত্য বলেন, ‘‘প্রথম দিন থেকে এই লাইনটা এই ছবির অংশ ছিল। লেখক হিসেবে এই ছবিতে আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতা, স্মৃতিকে ব্যবহার করেছি। সব কিছুর মিশ্রন হয়েছে এখানে। ছোটবেলা থেকে যে লাইনটা স্মৃতিতে নিয়ে ঘুরছিলাম সেটা ব্যবহার করার এর থেকে ভাল কিছু ছিল না।’’

গত সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি নায়ক ভিকি কৌশল লিখেছিলেন, ‘‘হাউজ দ্য জোশ… এখন আর একটা লাইন নয়। এটা আবেগে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন হাউজ দ্য জোশ ভিডিও পাচ্ছি।’’

২০১৬ সালে হওয়া সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের উপর তৈরি এই সিনেমা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোপন আক্রমণ পাকিস্তানের উপর। উরে বেস ক্যাম্পে হামলার বদলা হিসেবে। ২০১৯-এর এখনও পর্যন্ত সেরা ছবি এটিই।  ২০০ কোটির ব্যবসার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে এই সিনেমা।

(বিনোদনের আরও খবর জানতে ক্লিক করুড় এই লিঙ্কে)