সুশান্ত সিং রাজপুত মামলায় নয়া মোড়, এফআইআর রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে

গ্রেফতার সিদ্ধার্থ পিঠানি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছে মুম্বই পুলিশ। কিন্তু পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি সেটা মেনে নিতে দিচ্ছে না। তাই বার বার উঠছে খুনের কথা বা আত্মহত্যায় বাধ্য করার তথ্য। এই অবস্থায় গোটা দেশ জুড়ে উঠছে সিবিআই তদন্তের দাবি কিন্তু এখনও কেস রয়েছে মুম্বই পুলিশের হাতেই। মাঝে মাঝে তাঁরা অভিযোগ ওঠা সেলিব্রিটিদের ডেকে জেরা করছেন। কিন্তু এখনও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এর মধ্যেই মঙ্গলবার সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর করলেন সুশান্তের বাবা।

সুশান্তের মৃত্যু একমাস পেরিয়ে গিয়েছে। প্রথম থেকেই রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন উঠছিল। এ বার তাতে শিলমোহর দিল সুশান্তের পরিবার। পটনায় রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা,  ব্যাক্তিগত ও টাকার বিষয়ে চিটিং, মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ আনা হল।

রিয়ার সঙ্গে তাঁর পরিবারের আরও ছ’জনের নাম রয়েছে এই এফআইআর-এ। পাটনা পুলিশের চার সদস্যের দল ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে পৌঁছে গিয়েছে। এই এফআইআর-এর তদন্ত করতে। যা থেকে এটা স্পষ্ট রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করা হবে। এদিন সকালেই টুইটের জবাবে সুশান্তের বড় দিদি জানিয়েছিলেন, তাঁরা মুম্বই পুলিশের তদন্ত শেষ হওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।

তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হচ্ছে না। তার জবাবে এই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। হয়তো এটাই তাঁদের প্রথম পদক্ষেপ। এই প্রথম তাঁরা সামনে এল।

মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্যেই ৪০-এর কাছাকাছি মানুষকে জেরা করেছে। তার মধ্যে রয়েছেন পরিচালক সঞ্জয়লীলা ভনসালি, আদিত্য চোপড়া, মুকেশ ছাবড়া, শেখর কাপুর, মহেশ ভাটসহ আরও অনেককে। জেরার মুখে পড়েছেন সুশান্তের বান্ধবীরাও।

জানা গিয়েছে সুশান্তের বাড়ি থেকে অনেক গয়না, টাকা, ক্রেডিট কার্ড এবং তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কয়েক কোটি টাকা তোলা হয়েছে। এই সব কিছু রিয়া করেছেন বলেই তাঁর পরিবারের সন্দেহ। সুশান্তের উপর চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগও রয়েছেন। যে ডাক্তারকে সুশান্ত দেখাতেন তাঁর সম্পর্কেও প্রশ্ন উঠছে।

সুশান্ত কী ওষুধ খেতেন, কেন খেতেন তাও খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সুশান্তের মৃত্যুর একমাস পর রিয়া চক্রবর্তী সুশান্ত সম্পর্কে মুখ খুলেছিলেন। তিনি নিজে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই রিয়ার বিরুদ্ধেই এ বার ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা আত্মহত্যায় প্ররোচনা (৩০৬), জোর করে আটকে রাখা (৩৪১ ও ৩৪২), জিনিস চুরি (৩৮০), প্রতারণা (৪২০)-র অভিযোগ উঠল।

(বিনোদন জগতের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্ক)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)