হীরে ব্যাবসায়ী খুনে আটক হিন্দি সিরিয়ালের বিখ্যাত নায়িকা

হীরে ব্যবসায়ীঅভিনেত্রী দেবলীনা ভট্টাচার্য। ছবি: দেবলীনার ফেসবুক থেকে।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হীরে ব্যবসায়ী রাজেশ্বর উড়ানির মৃত দেহ উদ্ধার হয়েছে মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার জঙ্গল থেকে। গ্রেফতার করা হয়েছেন দু’জনকে। তার মধ্যে একজন মহরাষ্ট্রের মন্ত্রীর সহকারি ও একজন পুলিশকর্মী। গ্রেফতার না হলেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে জনপ্রিয় এক টেলিভিশন অভিনেত্রী ও  মডেলকে

রাজেশ্বর উড়ানি নামের ওই হীরে ব্যবসায়ী থাকতেন মুম্বইয়ের ঘাটকোপর অঞ্চলে। ২৮ নভেম্বর থেকে হঠাৎই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। গত শুক্রবার রায়গড় জেলার পানভেলের জঙ্গল থেকে ৫৭ বছরের এই হীরে ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর পাওয়া যায় তাঁর দেহ।

যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে এক জন সচিন পাওয়ার। যিনি মহারাষ্ট্রে মন্ত্রী প্রকাশ মেহতার ব্যাক্তিগত সহকারি ছিলেন। আর একজন দীনেশ পাওয়ার, যিনি ইতিমধ্যেই শ্লীলতাহানির কেসে তাঁর পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি থেকে নির্বাসিত।

গ্রেফতার না হলেও এই খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়ে গিয়েছে হিন্দি সিরিয়ালের পরিচিত মুখ দেবলীন‌া ভট্টাচার্যের। বিখ্যাত হিন্দি সিরিয়াল ‘সাথ নিভানা সাথিয়া’র গোপী বহুর চরিত্রে কাজ করেই হিন্দি সিরিয়ান জগতে পরিচিত হয়ে উঠেছেন দেবলীনা। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁকে আটক করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

‘কেদারনাথ’ ধ্বংসাত্মক বাস্তবের আঙিনায় প্রেমের বিনুনী বুনেছেন পরিচালক

কীভাবে দেবলীনার নাম এল তা পুলিশ পরিষ্কার করে কিছু জানায়নিয় তবে জানা গিয়েছে দেবলীনার সঙ্গে বলিউড এনটারটেইনমেন্ট জগতের আরও কাউকে কাউকে ডাকা হতে পারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

পুলিশের তদন্ত ও মৃত হীরে ব্যবসায়ীর ফোনের কল ডিটেল থেকে জানা গিয়েছে বেশ কিছু বারে তিনি বিভিন্ন মহিলার সঙ্গে সময় কাটাতেন।তার মদ্যে অনেকেই এন্টারটেইনমেন্ট জগতের। এই যোগাযোগ গুলো করিয়ে দিতেন সচিন পাওয়ার।

মন্ত্রী প্রকাশ মেহতা মেনে নিয়েছেন, সচিন তাঁর কাছে কাজ করেছেন ২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত। কিন্তু তার পর আর সচিনের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না।

 গায়ক মিকা সিং দুবাইয়ে গ্রেফতার হলেন

মৃত হীরে ব্যবসায়ী নিখোঁজ হওয়ার এক সপ্তাহ পরে তাঁর পরিবার পুলিশে নিখোঁজ ডাইরি করে। সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উড়ানির ড্রাইভার জানিয়েছেন, তিনি সেদিন তাঁর মালিককে নিয়ে মার্কেটের সামনে নামিয়ে দিয়েছিলেন। এবং তিনি দেখেছিলেন তাঁকে অন্য একটি গাড়িতে উঠে যেতে।

মৃত হীরে ব্যবসায়ীর দেহে কোনও ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশের সন্দেহ ওকে খুন করার জন্যই অপহরণ করা হয়েছিল। যেখানে ওর দেহ পাওয়া গিয়েছে সেখানে এনে ফেলা হয়েছিল দেহ অন্য কোথাও খুন করে। দেহ উদ্ধারের এলাকায় আরও মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এবং সেই গাড়িটিরও খোঁজ করা হচ্ছে যে গাড়িতে করে তাঁকে শেষ যেতে দেখেছিলেন তাঁর ড্রাইভার।