ডাল লেকে ভাসতে ভাসতে সিনেমা, ভেবেছেন কখনও এমনটাও হতে পারে

ডাল লেকে ভাসতে ভাসতে সিনেমাডাল লেকে ভাসতে ভাসতে সিনেমা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ডাল লেকে ভাসতে ভাসতে সিনেমা দেখার কথা কখনও ভেবেছেন? ভাবছেন বেড়াতে গিয়ে কে আর সিনেমা দেখে? সেই ফুরসৎ কোথায় পর্যটকদের? কিন্তু সেটা যদি হয় কাশ্মীর। শুধু কি কাশ্মীর, সেটা যদি হয় কাশ্মীরের সব থেকে বড় পর্যটকদের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু ডাল লেক, তাহলেও সিনেমা দেখবেন না বলছেন? হলফ করে বলতে পারি এই আকর্ষণ ছাড়তে পারবেন না আপনিও। ডাললেকে ভাসতে ভাসতে যদি রূপোলি পর্দায় ভেসে ওঠে ‘কাশ্মীর কি কলি’ বা ‘মিশন কাশ্মীর’? তাহলে ঠিক কেমন হবে অভিজ্ঞতাটা? একবার ভেবেই দেখুন না?

কাশ্মীর গিয়ে হাউসবোটে থাকতে পারাটা একটা বড় ভাললাগার জায়গা। আর তার সঙ্গে যদি ভাসতে ভাসতেই সিনেমা দেখা যায় সারাদিনের ঘোরাঘুরির শেষে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে, তাহলে তো আর কথাই নেই। আর সেই ব্যবস্থাই করেছে শ্রীনগর। কাশ্মীরে পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ ডাল লেকে সিনেমা হল। গত শুক্রবার ডাল লেকে বোধন হয়ে গেল ভাসমান সিনেমা হলের। যা এশিয়ার মধ্যে প্রথম। এর আগে মোবাইল সিনেমা হল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে লাদাখ। কিছুদিন আগের ঘটনা। এবার আরও বড় তাক লাগাল কাশ্মীর।

জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্য সচিব অরুণ কুমার মেহতা বলেন, ‘‘ডাল লেক এখানকার সব থেকে আকর্ষণের জায়গা পর্যটকদের জন্য। ডাল লেকে শিকারা ভ্রমণ না করলে কাশ্মীর ঘোরাটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আর সেই শিকারা ভ্রমণকেই আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে সিনেমা।’’ তাঁর ব্যাখ্যায় পর্যটকদের কথা ভেবেই এই অভিনব উদ্যোগ। তিনি মনে করেন, সিনেমার পর্যটকদের আরও বেশি করে টানবে কাশ্মীরে। উন্নতি হবে পর্যটন শিল্পের।

ডাল লেকের মাঝেই তৈরি হয়েছে স্ক্রিন। পুরো ডাল লেকটাই সিনেমা হল। যার ছাদ আকাশ এবং দেওয়াল পাহাড়। তবে শীতে তা কতটা সম্ভব হবে সেটা বলা এখনই মুশকিল। শীতের সময় রাতে এখানকার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে যায়। তখন বাইরে থাকা প্রায় অসম্ভব। বরফ হয়ে যায় ডাল লেকের অনেকাংশও। সামনেই শীতের মরসুম আসছে তাতেই পরিষ্কার হয়ে যাবে এই উদ্যোগ আদৌ কাজে লাগবে কিনা। তবে প্রথম দিন ডাল লেকে ভাসতে ভাসতে প্রচুর পর্যটক ‘কাশ্মীর কি কলি’ উপভোগ করেছেন।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)