সুশান্ত সিং রাজপুতের মোবাইল ফোনেই কি রহস্য লুকিয়ে? ফোন চায় সিবিআই

সুশান্ত সিং রাজপুতের অটপসি ও ভিসেরা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের মোবাইল ফোনেই কি রহস্য লুকিয়ে? ওই ফোন থেকেই রহস্যের কিনারা হতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই সম্ভাবনা থেকেই মুম্বই পুলিশের হেফাজত থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মোবাইল ফোনটি নিজেদের কাছে নিতে চাইছে সিবিআই। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সিবিআই এ ব্যাপারে মুম্বই পুলিশকে চিঠি দেবে।

সুশান্তের মৃত্যু ঘিরে রহস্য এমন দানা বেঁধেছে যে তাঁর অর্থনৈতিক লেনদেনের বিষয়গুলিও এখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দেখছে। বিশেষ করে সুশান্তের পরিবার তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের যে অভিযোগ এনেছে, তার পরে অভিনেতার বিনিয়োগের বিষয়টি ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে ইডি।

সিবিআই সূত্রের দাবি, সুশান্তের মোবাইল ফোনটি মিললে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ-সহ অন্যান্য তথ্যের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। কী পরিস্থিতিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়েও ইঙ্গিত মিলতে পারে বলে গোয়েন্দাদের আশা। সে কারণেই মুম্বই পুলিশের থেকে তাঁর ফোনটি পাওয়া জরুরি। মোবাইলে তাঁর বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মেলার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

মৃত্যুর দিনে সুশান্তের বাড়িতে আসা এক মহিলার পরিচয় নিয়ে রহস্য বাড়ছিল। গত ১৪ জুনের একটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যায়, সুশান্তের দেহ যখন বাড়ি থেকে বার করে আনা হচ্ছিল, তখন ওই মহিলা পুলিশকে পাশ কাটিয়ে ঢুকে যান। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে বলা হচ্ছে, ওই মহিলা নাকি রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর বান্ধবী জামিলা।

সূত্রের দাবি, সুশান্তের সঙ্গে একটি ছবিতে ওই মহিলা একই রকম চটি পরে ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়ার পোস্ট করা সেই ছবি ও ভিডিয়োটি মিলিয়ে দেখেই এই অনুমান করা হয়েছে। সুশান্তের দেহ নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুল্যান্সের পাশেও কিছু সময় ছিলেন তিনি। ওই মহিলার পরিচয় ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে।

এর আগে মহারাষ্ট্র সরকার এবং পুলিশ দু’পক্ষই সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে ছিল। তাদের দাবি ছিল এই মামলায় বিহার পুলিশের কোনও এক্তিয়ার নেই। কারণ সুশান্তের মৃত্যু হয়েছিল মুম্বইয়ে। এবং বিহার পুলিশের কাছে রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তের পরিবার এফআইআর করার পর সমান্তরাল তদন্ত শুরু করে বিহার পুলিশ। সেই তদন্ত করতে আসা তিন সদস্যের দলকে সাহায্য না করলেও বাধা দেয়নি মুম্বই পুলিশ কিন্তু কিছুদিন পর বিহার পুলিশের অফিসার বিনয় তিওয়ারি মুম্বই পৌঁছলে তাঁকে কোয়রান্টিন করা হয়। তাঁকে ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে কাজ করতে বলা হয়। যার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টও মুম্বই পুলিশের সমালোচনা করেছে।

(বিনোদন জগতের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্ক)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)