রিয়া চক্রবর্তী সিবিআই-এর ম্যারাথন জেরার মুখে, চলল প্রায় ১০ ঘণ্টা

জামিন পেলেন রিয়া চক্রবর্তী

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রিয়া চক্রবর্তী সিবিআই-এর জেরার মুখে। পেরিয়ে গিয়েছে ১০ ঘণ্টা। এখনও চলছে জেরা। গত এক সপ্তাহ ধরে মুম্বই পৌঁছনোর পর থেকে অনেক কিছু খতিয়ে দেখেছে সিবিআই। সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়ির পরিচারক থেকে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বার বার টানা জেরা করেছে গতকাল পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার সিবিআই-এর জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকেও। একই দিনে রিয়ার বাবা হাজিরা দেন ইডি দফতরে। রিয়াকে ডাকা ছিল সময়ের অপেক্ষা, যা শুক্রবার করলেন সিবিআই অফিসাররা।

ঠিক একদিন আগেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেয়েছিলেন রিয়া। একটি জাতীয় চ্যানেল তাঁর সাক্ষাৎকার নেয়। সেখানেই অনেক কথা বলেন তিনি। উঠে আসে তাঁর সম্পর্কে সুশান্তের সম্পর্ক থেকে ৮ জুন তাঁর সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা। এর মধ্যেই তড়িঘড়ি রিয়াকে ডেকে পাঠালো সিবিআই। টানা ১০ ঘণ্টা জেরার পর ভাই সৌভিককে নিয়ে বাড়িতে পৌঁছলেও তিনি ঢুকতে পারেননি। সেখান থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে তাঁরা পৌঁছে যান সান্তাক্রুজ পুলিশ স্টেশনে। জানা যাচ্ছে নিরাপত্তার কারণেই তিনি পুলিশ স্টেশনে গিয়েছেন। সেখানে বেশ কিছুটা সময় কাটানোর পর পুলিশের নিরাপত্তা নিয়েই বাড়ির দিকে রওনা দেন রিয়া চক্রবর্তী। রিয়াকে বাড়িতে ঢুকিয়ে দিয়ে পুলিশ বেরিয়ে যায়।

সূত্রের খবর রিয়াকে জেরা করছেন এই তদন্তকারী দলকে নেতৃত্ব দেওয়া নুপুর প্রসাদ। রিয়ার বিরুদ্ধে বিহার পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছিল সুশান্তের পরিবার। সেখানে রিয়া ও তাঁর পরিবারের সুশান্তকে বিরক্ত করা থেকে শুরু করে সুশান্তে টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছিল। এবং সুশান্তের মৃত্যুর পিছনেও তাঁরও হাত রয়েছে বলে অভিযোগ এনেছিল সুশান্তের পরিবার।

বিহার পুলিশই সুশান্ত মৃত্যু মামলা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানায় এবং ১৯ আগস্ট তা সিবিআইকে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার রিয়ার ভাই সৌভিককে ডাকা হয়েছিল। তাঁর জেরা চলে ১৪ ঘণ্টা। শুক্রবার চলছে রিয়ার জেরা। জানা যাচ্ছে দু’জনের বক্তব্যে অসঙ্গতি রয়েছে বলে মনে করছেন অফিসাররা।

শুক্রবার সকাল ১০টায় রিয়া চক্রবর্তী পৌঁছন তদন্তকারী অফিসারদের সামনে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী। যেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে রিয়াকে। সে সুশান্তের ডাক্তার, ওষুধ বা তাঁদের ইউরোপ ট্যুর। এছাড়াও প্রশ্ন উঠবে দু’জনের নামাঙ্কিত সংস্থা, রিয়ার সম্পত্তি ও বিলাসবহুল জীবন নিয়ে।

সিবিআই ও ইডির পাশাপাশি এই তদন্তে যুক্ত হয়েছে নাকোর্টিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোও। কারণ রিয়ার কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট রয়েছে সিবিআই-এর হাতে। যেখানে ড্রাগ কেনার প্রসঙ্গ রয়েছে। তবে রিয়া জানিয়েছিলেন, সুশান্ত ড্রাগ নিলেও তিনি কখনও ড্রাগ নেননি।

(বিনোদন জগতের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্ক)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)