ফোনে ফোনে প্রেমের খেলায় মাতল ‘বাবলি’, তার পর কী হল?

বাবলিবাবলির কলাকুশলী ও পরিচালকদ্বয়।

নবনীতা দাশগুপ্ত


এই বাবলি বুদ্ধদেব গুহর বাবলি নয়। এই বাবলি কিন্তু বেশ সাংঘাতিক। তিনি প্রেমের খেলা খেলতে ভালবাসেন। আর সবটাই করেন ফোনে ফোনে। একদিন নিজেই পড়ে যান প্রেমে। আর তা নিয়েই এগিয়ে চলে সিনেমা। নাম ‘বাবলি’।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে পরিচালক পার্থ ডি মিত্র এবং দেবাশিস দে পরিচালিত বাংলা ছবি ‘বাবলি’। সম্পূর্ণ কমেডির মোড়কে একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প বলার চেষ্টা করেছেন দুই পরিচালক। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র এই বাবলি।

বাবলি এমনই একটা মেয়ে যাকে বাংলা ছবির পাড়ায় দেখা যায় না সচরাচর। তার অত্যন্ত পছন্দের জিনিস মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন এখন অবশ্য সকলেরই সব থেকে প্রিয় জিনিস। কিন্তু বাবলির কাছে তার কদর অন্য একটা কারণে। সে ছেলেদের নম্বর জোগাড় করে তাদের মিস কল দেয়। তারপর তারা কল ব্যাক করলে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব জমায়। আর সেই একটা সময় পৌঁছে যায় প্রেমে। বাবলির কথার মারপ্যাঁচ এমনই যা কেটে পালাতে পারে না কেউই। মৌতাত জমে ডগমগ প্রেমের।

ইউনিকর্ন, নৈশব্দের রঙের ছবি তৈরি দর্শকদের জন্য, একটু অপেক্ষা

কিন্তু তার পর কী করে বাবলি? চুটিয়ে প্রেম?

তার উত্তর কিন্তু ‘না’। এরপর একদিন সে এমন একজনকে ফোন করে বসে যে কিনা তাকে সত্যিই ভালবেসে ফেলে। এই পর্যন্ত ব্যাপারটা ঠিকই ছিল। এখানেই মিটে গেলে স্বাভাবিক ছন্দেই গড়াত প্রেমের কাহিনী। কিন্তু ঘটনার জল গড়ায় অন্যদিকে। সেই ছেলের দাদুর সঙ্গে প্রেম প্রেম খেলা বাবলি তার অজান্তেই খেলে ফেলে। ছবির ঘোট পাকার শুরু এখান থেকেই। জীবনের পড়ন্ত বেলায় এমন প্রেমে হাবুডুবু অবস্থা হলে যা হয়। তাই হয় দাদুরও।

একই মেয়ের প্রেমে দাদুর সঙ্গে সঙ্গে হাবুডবু অবস্থা নাতিরও। সমস্যার পরিমাণ আকাশ ছুয়েছে ততদিনে। কী ভাবে সেই সমস্যা মিটল তা জানতে দেখতে হবে ‘বাবলি’।

বাবলির চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিনাশ্রী। আর অয়নের চরিত্রে ঋদ্ধিস। এরা দুজনেই মুম্বইয়ের বাসিন্দা। তাঁরা ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়, কাঞ্চন মল্লিক, বিশ্বনাথ বসু, তুলিকা বসু, পাপিয়া অধিকারী, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, সুপ্রিয় দত্ত, অরিন্দম গাঙ্গুলী প্রমুখ। সঙ্গীত পরিচালক সৌমিত্র কুণ্ডু। কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পার্থ ডি মিত্র। কয়েকদিন বাদেই আরও দুটি ছবি দর্শককে উপহার দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে একটি ‘রবির প্রেম’ অন্যটি ‘পিকলু’। বাবলিতে যেমন একটা সোশ্যাল মেসেজ আছে তেমনি আগামী ছবি দুটিতেও থাকবে সামাজিক বার্তা।