উমা আসছে, জীবন-মৃত্যুর টানাপড়েনে জুনেই বোধন

উমা

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ‘পুজো তো অক্টোবর মাসে হয় বাবা’, বাবাকে প্রশ্ন করে ছোট্ট উমা। উমা জানে না তার জন্যই এগিয়ে এসেছে এ বারের দূগ্গাপুজো। তার হাতে যে আর সময় নেই। অক্টোবরটাও পেড়োবে না, বলে দিয়েছেন ডাক্তার। তাই বাবা চান তার আদুরে মেয়েকে সেই সব খুশি দিয়ে ভরিয়ে দিতে যা যা সে চায়। তাই কলকাতার বাড়িতে তৈরি হয়েছে পুজোর বিশাল আয়োজন। তার জন্য আছেন ডিরেক্টর, আছেন অভিনেতা-অভিনেত্রী। আছে মহালয়া, আছে বোধন, আছে বিসর্জন। আর আছে উমা আর উমার বাবা। যাদের ঘিরে পুরো ছবির গল্প রচিত হয়েছে।

সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘উমা’ যদিও সবার জন্য মুক্তি পাচ্ছে ১ জুন। তার আগেই ‘উমা’র ট্রেলর ছুয়ে গিয়েছে মানুষের মন। উমার ভূমিকায় সারা সেনগুপ্ত। যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনার কন্যা সারা। অভিষেকেই বাবার ভূমিকায় পেয়ে গিয়েছে নিজের বাবা যিশুকেই। তাই কি এ ভাবে অভিনয় করে যেতে পারল ছোট্ট ওই মেয়ে।  নাকি রক্তে যার অভিনয় সে তো পারবেই।  ভবিষ্যত বলবে সারা নিজেকে কোন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। কিন্তু শুরুতেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে সারা অভিনয় দিয়ে।

নতুন ভাবে ছবির পর্দায় ঘরে ও বাইরে

ছবির গল্প অনেকটা এরকম, জটিল রোগে আক্রান্ত উমা। তার শেষ ইচ্ছে দুর্গাপুজো দেখবে কলকাতায় গিয়ে। আর তার আগেই ডাক্তার জানিয়ে দিয়েছেন উমার হাতে অক্টোবর পর্যন্তও যে সময় নেই। তাই এপ্রিলেই ঢাক বেজে ওঠে কলকাতায়। যিশুর পাশে তখন আরও অনেকে। সেই কাজে বাধাও আসে একাধিক। কিন্তু সব কিছুকে ছাঁপিয়ে যায় এক বাবার তাঁর মেয়ের শেষ ইচ্ছে পূরণের অদম্য চেষ্টা। পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা বাবা-মেয়ে। লাল পাড়ের শাড়িতে খেতের মধ্যে দিয়ে দৌড়চ্ছে মেয়ে, পিছনে সাদা পাজামা-পঞ্জাবীতে বাবা।  এই দৌড় থেমে যাবে একদিন। জানে সবাই। তবুও বাঁচার আনন্দে বাঁচে ছোট্ট মেয়ে।

এই ছবিতে যিশু আর সারা ছাড়াও দেখা যাবে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ ছাড়া অঞ্জন দত্ত, রুদ্রনীল ঘোষরা তো আছেনই। বিশেষভাবে দেখা যাবে বাবুল সুপ্রিয়কে। সবাই জানিয়ে দিলেন সারা অসাধারণ। খুশি মা নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তও। সারার বাবা-মা কিন্তু বেশ টেনশনে মেয়ের প্রথম রিলিজ নিয়ে। পুরো ছবিতেই এই টেনশনটাই থাকবে দর্শকদের মধ্যে। কী হবে কী হবে শেষে ভাবনাটাই থেকে যাবে শেষ পর্যন্ত। সঙ্গে একরাশ মন খারাপ। যা ঘুরে ফিরে এল এই ট্রেলারে।