সলমনকে খুন করতেই কি সেটে দুষ্কৃতী?

সকাল থেকেই হইহই করে শুটিং চলছিল। ছবির নাম ‘রেস ৩’। মূল চরিত্রে সলমন খান অভিনয় করছেন। তিনি সেই সময় সেটে হাজির।

হঠাৎই সেটে হাজির পুলিশ। তারা জানায়, আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সেটে কয়েক জন বহিরাগত ঢুকে পড়েছে। শুটিং প্যাক-আপ হয়ে যায়। সলমনকে সেখান থেকে বার করে সুরক্ষিত ভাবে তাঁর বান্দ্রার বাড়িতে পৌঁছে দেয় পুলিশ। কিন্তু সেই দুষ্কৃতীদের কী হল, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। পুলিশের হাতে ধরা পড়ারও কোনও খবর মেলেনি। ওই ছবির প্রযোজক রমেশ তরানি বলেছেন, ‘‘সেটে তখন শুটিং চলছিল। পুলিশ এসে শুটিং বন্ধ করে দিতে বলে। এর পর ছ’জন পুলিশ কর্মী সলমনকে তাঁর বান্দ্রার বাড়িতে পৌঁছে দেয়।’’

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দুষ্কৃতীরা সম্ভবত রাজস্থানের কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর লোক। ক’দিন আগেই সলমনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় রাজস্থানের ওই গ্যাংস্টার। গত বৃহস্পতিবার জোধপুর আদালতে তোলা হয়েছিল লরেন্সকে। ঘটনাচক্রে ওই দিনই কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন সলমন। সেখানে লরেন্স বলে, ‘‘সলমনকে জোধপুরেই মারব। তখন সে বুঝবে আমাদের আসল পরিচয়।’’

সলমনের সঙ্গে লরেন্সের বিরোধের সূত্রপাত সেই ১৯৯৮ থেকে। কৃষ্ণসার হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। রাজস্থানের বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ কৃষ্ণসার হরিণকে পুজো করে। সেই হরিণ মেরে ফেলার পর থেকেই সলমনের উপর তাদের রাগ। একই কারণে লরেন্সরও ক্ষোভ। মুম্বই পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, লরেন্সের হুমকিকে তাঁরা মোটেও হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন না। সলমনের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও বাড়ানো হবে বলেই তাঁর দাবি।