‘ঘরে অ্যান্ড বাইরে’, অমিত-লাবন্যকে পছন্দ হবে আপনার

ঘরে অ্যান্ড বাইরেঘরে & বাইরে ছবির একটি দৃশ্য।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরোএ বার তিনি আনলেন ঘরে অ্যান্ড বাইরে।মৈনাক ভৌমিক যখন কোনও ছবি বানান তখন সেখান থেকে যে নতুন কিছু পাওয়া যাবে সেটাই স্বাভাবিক। আর সেই ভাবনা নিয়েই ‘ঘরে & বাইরে দেখতে পৌঁছে যাওয়া শহরের এক মাল্টিপ্লেক্সে। মূল চরিত্রে যীশু সেনগুপ্তকোয়েল মল্লিক। এই জুটির একটা অন্য দর্শক রয়েছে। এই জুটির কেমিস্ট্রিও কিন্তু মানুষের মনে ঘর করে রয়েছে অনেক দিন ধরেই।

বাংলা ছবির কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই দুটো ঘরাণায় ভাগ হয়ে গিয়েছে। অনেক বলেও তা বদলাতে পারেনি কেউই। শহরের দর্শক আর গ্রামের দর্শক। বা অন্যভাবে বলা যেতে পারে,মেইন স্ট্রিম কমার্শিয়াল ছবি এবং একটু অফবিট ছবি। কিন্তু মৈনাক ঘরে & বাইরে বানাতে গিয়ে যেটা করেছেন সেটা হল অদ্ভুত একটা মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ। খুব নির্দ্বিধায় মিলিয়ে দিতে পেড়েছেন বাংলা ছবির দুই ঘারানাকে।

যেখানে রয়েছে অনাবিল হাসির খোরাক। রয়েছে একঝাঁক লুকিয়ে থাকা আবেগ। যা ওই হাসির মধ্যে দিয়েই বেরিয়ে এসে না়ড়িয়ে দিয়ে যায় আপনাকে। রবি ঠাকুরের অমিত-লাবন্যকে এর মধ্যেও মনে পড়ে। এই লাবন্য শাড়ি পড়ে না। বরং জিন্স, স্কার্টেই এই যুগের লাবন্যরা সাবলীল। অন্য দিকে, অমিত এক বোহেমিয়ান ছেলে। হঠাৎই কিছু না বলে মুম্বই পাড়ি দিলেও সেখানের কর্পোরেট জীবনে মানাতে না পেরে চুপচাপ ফিরে আসা নিজের শহরে।

জীবনের প্রথম জাতীয় পুরস্কার, কিন্তু তিনিই নেই

পাশের বাড়ির বান্ধবী লাবন্যকে কিছু না জানিয়েই চলে যাওয়ায় সে প্রচন্ড খুব্ধ। শহরের এক শপিংমনে বন্ধু বিশ্বনাথ বসুর ধাক্কায় একদম কোয়েলের সামনে এসে পড়া। কিন্তু তার পর একপ্রস্থ ঝগরা ছাড়া আর কিছুই হল না। যীশু অনেক চেষ্টা করেও কোয়েল মানে লাবন্যকে আই লাভ ইউ বলে উঠতে পারে না। শেষ পর্যন্ত যীশুর থেকে সেই কথা শুনতে বিয়ে করার পরিকল্পনা করে লাবন্য। এক এনআরআই-এর সঙ্গে সম্বন্ধ আসে। সেখানে রয়েছে একপ্রস্থ হাসির খোরাক। তার সঙ্গে অপরাজিতা আঢ্যর সেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কোয়েলের বন্ধু হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করা। যাঁর বিয়েছে সুদূর মুম্বই থেকে উড়ে এসেছিলেন যীশু।

আবেগে চোখে জল আসবে যখন লাবন্য-অমিতের স্বপ্নের ফেরিওয়ালাকে রূপ দেবে অমিত। আর হঠাৎই তা চলে আসে লাবন্যর সামনে। কিন্তু শেষে লাবন্যর কী সেই এনআরআই-এর সঙ্গে বিয়ে হল? বিয়ের আসরে কী নাটক ঘটল জানতে দেখতেই হবে মৈনাক ভৌমিকের ‘ঘরে & বাইরে’।