ভারতীয় ক্রিকেট দখল করেছে দেশীয় সংস্থা, মুখ ফেরাচ্ছে বিদেশিরা

ভারতীয় ক্রিকেট

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেট থেকে একটু একটু করে স্পনসরশিপ তুলছে স্পোর্টস গুডস সংস্থাগুলো। টাকার লড়াই উঠেছে তুঙ্গে। তাতে কোপ পড়ছে ক্রিকেটারদের ব্যাক্তিগত স্পনসরশিপে। গত বছরই বিরাট কোহালির স্পনসরশিপ তুলে নেয় অ্যাডিডআস। তার পর অবশ্য পুমা ভারত অধিনায়কের সঙ্গে ১০০ কোটির ডিল করেছে। এই মুহূর্তে অ্যাডিডআস জুতো ও ক্রিকেট সরঞ্জাম স্পনসরশিপের আওতায় রয়েছেন রোহিত শর্মা, ঋশভ পন্থ ও কুলদীপ যাদব। অন্যদিকে লোকেশ রাহুলও অ্যাডিডআস ছেড়ে পুমার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জুতো ও ক্রিকেট সরঞ্জামের জন্য। ব্যাটের জন্য ব্যবহার করছেন এসএস।

জার্মান ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুত কারক সংস্থা অ্যাডিডআস ভারতে ব্যাট ও বাকি ক্রিকেট সরঞ্জাম যেমন ব্যাটিং প্যাড ও গ্লাভস বানামো বন্ধ করে দিয়েছে।  তারা এই সব জিনিস বাইরে থেকে কেনার পরিকল্পনা করেছে। তারা জেভিএস নামক এক সংস্থাকে এগুলো তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অবশ্য প্রথমে নিয়েছিল নাইকি। ভারতের তারা প্রথমে ক্রিকেট ব্যাট বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছিল। সঙ্গে অনেক টাকা খরচ করে বড় বড় ক্রিকেটারদের ব্যাট স্পনসরশিপও তুলে নিয়েছিল।

সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গোটা বিশ্বেই এই ব্যবসাটাই এখন চলছে। নতুন ক্রিকেটারদের জন্য একটা ব্যাট স্পনসরের পিছনে খরচ হয় ৫০ লাখের মতো। শীর্ষ স্থানীয় ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে সেটা বেড়ে দাড়ায় ৬ থেকে ৮ কোটি। যেমন বিরাট কোহালি। সম্প্রতি ক্রিকেটারদের বেশিরভাগেরই ব্যাট স্পনসরের দায়িত্ব নিজেরে কাঁধে তুলে নিয়েছে ভারতীয় একাধিক সংস্থা। তার মধ্যে বেশিরভাগই টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা। এমআরএফ ও সিয়েট, এগিয়ে এই তালিকায়। এ ছাড়া রয়েছে ক্রিকেট সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা মিরাটের এসজিও এখন ব্যাট স্পনসর করছে।

অ্যামাজন ছাপিয়ে গেল অ্যাপলকে

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই জায়গা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে আসায় দেশীয় সংস্থাগুলো জায়গা পেয়েছে ক্রিকেটের দুনিয়ায়। এসএস সংস্থার তরফে তাদের এমডি যতীন সারিন বলেন, ‘‘এটা খুব নোঁড়া লড়াই। প্রথম বিশ্ব মার্কেটে রাজত্ব করা এই সংস্থাগুলো অতিরিক্ত টাকা খরচ করে দাম বাড়িয়ে দিল। তার পর যখন দেখল সেটা কাজে লাগছে না তখন তারা সরে দাড়াল।’’ তার পর থেকেই ক্রিকেটাররা কোনও একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি না করে একাধিক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করতে শুরু করল। যেমন বিরাট কোহালি জুতো প্রস্তুতকারক সংস্থা পুমা হলেও তাঁর ব্যাটে রয়েছে এমআরএফ। তবে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো টায়ার সংস্থার সঙ্গে ব্যাটের স্পনসরশিপে লড়াইয়ে যেতে নারাজ।

কিন্তু এই ক্রীড়াসরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো যারা ভারত থেকে সরে দাড়ালেও ইউকে ও অস্ট্রেলিয়ায় এখনও কাজ করছে। তাদের মত অবশ্য অন্য। তারা মনে করে, ভারতীয় সংস্থাগুলো ওদের এ ব্যাপারে ছাপিয়ে গিয়েছে। তাদের থেকে অনেক কম দামে একই মানের জিনিস প্রস্তুত করছে ভারতীয় সংস্থাগুলো। তাতে মার খাচ্ছে বিদেশী সংস্থা।