বিএসএনএল কি বন্ধ হয়ে যাবে? জল্পনা জোরদার বাজারে

বিএসএনএল কি বন্ধবিএসএনএল

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিএসএনএল কি বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে? সম্প্রতি এই জল্পনাই ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে।

বছরখানেক ধরেই রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বিএসএনএল আর্থিক সঙ্কটে রীতিমতো ধুঁকছে। আয়ের তুলনায় তাদের ব্যয় অনেকটাই বেশি। ফলে লাভের অঙ্ক মাইনাসে দৌড়চ্ছে এখন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, সংস্থার স্থায়ী কর্মীদের চলতি মাসে বেতন দেওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় আর্থিক সহায়তা না পেলে সংস্থা চালানো কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।

কয়েক বছর আগে এই বিএসএনএল-এর লাভের অঙ্ক দেখলে চোখ কপালে উঠত। বছরে প্রায় লাভের অঙ্ক প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। সেখানে এখন তার বাজারে ধার ১৩ হাজার কোটি টাকা। আর লাভের কথা না বলাই ভাল।

সংস্থার তরফে দেওয়া এক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ২০০৪-০৫ সালে এখনকার চেয়ে বিএসএনএল-এ প্রায় ১ লাখ কর্মী বেশি কাজ করতেন। তা সত্ত্বেও বিএসএনএল ১০ হাজার কোটি টাকা নিট লাভ করেছিল ওই আর্থিক বর্ষে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো। বিএসএনএলের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের থেকে অন্যান্য সংস্থার ধারের পরিমাণ অনেক বেশি। বিএসএনএলের যেখানে ১৩ হাজার কোটি টাকা ধার, সেখানে ভোডাফোন আইডিয়ার ১ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা, এয়ারটেলের ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা এবং জিওর ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা ধার রয়েছে।

বাণিজ্যের আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন…

কিন্তু বিএসএনএলের এমন পরিস্থিতি তৈরি হল কী ভাবে? বিষেশজ্ঞরা বলছেন, রিলায়্যান্স জিয়ো আসার পরে বাজারে তীব্র মাসুল যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। সরকারি এবং বেসরকারি সব টেলিকম অপারেটররা চিন্তায় পড়ে যায়, আয়ে এ ভাবে টান পড়লে তারা ব্যবসা চালাবে কী ভাবে? বিএসএনএল সেই সময় আরও এক সমস্যায় পড়ে। অন্য সার্ভিস প্রোভাইডাররা ফোর-জি স্পেকট্রাম পেলেও বিএসএনএলকে তা দেওয়া হয়নি। ফলে পুরনো অন্য সার্ভিস প্রোভাইডরদের থেকে বাজার বেশি করে হারিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই টেলিকম সংস্থা। অন্যরা যখন ফোর-জি পরিষেবা নিয়ে এসেছে তখন স্পেকট্রাম না পাওয়ায় ওই পরিষেবা চালুই করতে পারেনি বিএসএনএল।

টেলিকম শিল্পে প্রতিযোগিতা রয়েছে। আর সে কথা মেনেই কেন্দ্রের দাবি, বিএসএনএল এবং এমটিএনএল ঘুরে দাঁড়াবে। সেই মতো কাজ চলছে। বুধবার লোকসভায় টেলিকমমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, বিএসএনএল বিক্রির কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রের নেই। তবুও পরিস্থিতি দেখে বন্ধ হওয়ার জল্পনা ছড়াচ্ছে দাবানলের মতো।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)