অর্চনা পালংদার সারাতে গিয়েছিলেন মোবাইল, পাওয়া গেল নিথর দেহ… নেপথ্যে কী?

উল্টোডাঙার গৃহবধূ অর্চনা পালংদারউল্টোডাঙার গৃহবধূ অর্চনা পালংদার

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: অর্চনা পালন্দি , রাত পোহাতেই পরিচয় জানা গেল মৃত মহিলার।বৃহস্পতিবার আনন্দপুর পাম্পিং স্টেশনের লকগেটের কর্মীরা হঠাৎই দেখতে পান একটি বস্তা লকগেটের মুখে আটকে রয়েছে। সেটি দেখে তাঁরা বুঝতে পারেন এর মধ্যে ভারী কিছু রয়েছে। তাই নিজেরা হাত না দিয়ে স্থানীয় পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ আসার পর পুলিশের নেতৃত্বে সেই বস্তা তুলে দেখা হয় তার ভেতরে রয়েছে এক মৃত মহিলার দেহ। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মহিলার পরিচয় জানা না গেলেও শুক্রবারই তাঁকে শনাক্ত করল তাঁর স্বামী।

মৃতের নাম অর্চনা পালন্দি। ৩০ বছরের এই মহিলার বাড়ি উল্টোডাঙা থানার জওহরলাল দত্ত রোডে। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। মোবাইল সারানোর কথা বলে। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। বৃহস্পতিবার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। এই গৃহবধূর স্বামী একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। বৃহস্পতিবারই তাঁর পরিবারের তরফে উল্টোডাঙা থানায় নিখোঁজ ডাইরি করেছিল। শুক্রবারই স্ত্রীর দেহ শনাক্ত করলেন তাঁর স্বামী।

সোমেন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পেলেন

শনাক্ত হওয়ার পর উঠে আসছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথাও। পরিবারের সূত্রে জানানো হয়েছে, এর আগেও নাকি দু’বার বাড়ি ছেড়েছিলেন অর্চনা। তাঁর একটি ছেলে ও একটি মেয়েও রয়েছে। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে মোবাইলের দোকানে না গিয়ে কোথায় গিয়েছিলেন অর্চনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

চেক করা হচ্ছে মোবাইলের কল লিস্টও। তিনি কার কার সঙ্গে সেই সময় কথা বলেছিলেন বা মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে তিনি কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন। তার পরই খুনি এবং খুনের মোটিভ বের কথা সহজ হবে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পশ্চিম চৌবাগা ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের কর্মীরা দু’নম্বর লকগেটের কাছে একটি বড় বস্তা আটকে থাকতে দেখেন। খবর দেওয়া হয় আনন্দপুর থানায়।তদন্তকারীরা জানান, লাল রঙের কুর্তি ও কালো পাজামা পরা ওই মহিলার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

দেহটি উদ্ধারের পরেই লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলেই সন্দেহ গোয়েন্দাদের। দেহটি যেখানে আটকে ছিল তা দেখে মনে করা হচ্ছে কলকাতার দিক থেকেই ভেসে এসেছে দেহটি। কোনও কিছুকেই সন্দেহের বাইরে রাখা হচ্ছে না।