পশ্চিমের খোলস ছেড়ে রাজ্যের নাম এখন শুধুই বাংলা

রাজ্যের নাম এখন শুধুই বাংলারাজ্যের নাম এখন শুধুই বাংলা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আর পশ্চিমবঙ্গ নয়। ওয়েস্ট বেঙ্গলও বাদ। পশ্চিমের খোলস ছেড়ে রাজ্যের নাম এখন শুধুই বাংলা হবে। বৃহস্পতিবার এমনটাই সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়।

এর আগে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব গিয়েছিল, রাজ্যের নাম তিন ভাষায় তিন রকম হোক। বাংলা ভাষায় নাম হবে ‘বাংলা’, ইংরেজিতে ‘বেঙ্গল’ এবং হিন্দিতে ‘বঙ্গাল’। সেটা ২০১৬-র অগস্ট। তার পর দু’টি বছর কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিনটি ভাষায় নয়, রাজ্যের নাম হওয়া উচিত একটাই। এবং সেটা সব ভাষাতেই এক হতে হবে। বিধানসভায় সেই সময় বিরোধীরা তিনটি ভাষায় আলাদা আলাদা নামের বিষয়ে আপত্তি জানান। বামেরা সেই সময় প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও তাদের আপত্তি খারিজ হয়ে যায় ভোটাভুটিতে। আর কংগ্রেস প্রস্তাব পাশের সময় ওয়াক আউট করে বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে যায়। কাজেই বিধানসভায় পাশ হওয়া নিজেদের প্রস্তাবই কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিল সরকার পক্ষ।এবং তা খারিজ করে দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

এ দিন রাজ্যের একটাই নাম করার প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভায় আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের কাছে তিনি অনুরোধ করেন, রাজ্যের একটাই নাম হোক বাংলা। সর্বসম্মতিক্রমে সেই প্রস্তাব পাশ করার জন্যেও তিনি আবেদন করেন। এর পরেই বাংলা প্রস্তাবে সর্বসম্মতি মেলে। সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হওয়া সেই প্রস্তাব ফের পাঠানো হবে কেন্দ্রে কাছে। রাজ্যের আশা, কেন্দ্র এ বার আর প্রস্তাব ফেরাতে পারবে না। কাজেই রাজ্যের নাম খুব শীঘ্রই ‘বাংলা’ হয়ে যাবে।

সুস্থ হয়ে উঠুক অনির্বাণ, সুস্থ হোক মানসিকতাও

এ দিন সর্বসম্মতিক্রমে ‘বাংলা’ পাশ হওয়ার পর বিরোধীরা জানিয়েছেন, তাঁরা দু’বছর আগেই বলেছিলেন একটা নামই হোক। তিনটে বাষায় আলাদা আলাদা করার কোনও দরকার নেই। সে দিন সরকার পক্ষ ওই প্রস্তাব মেনে নিলে এতটা সময় নষ্ট হত না বলেই দাবি করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। এ দিনের প্রস্তাব পাশ হয়ে রাজ্যের নাম বাংলা হওয়ায় তারা খুশি।

১৯৯৯ সালে প্রথম রাজ্যের নাম বদলের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন বাম সরকার। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তখন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সেই উদ্যোগ মাঠে মারা যায়। তার প্রায় ১২ বছর পর ফের উদ্যোগ নেন রাজ্যে সদ্য ক্ষমতায় আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু, সেই দফাতেও মমতা রাজ্যের নাম বদলাতে পারেননি। তার পরে বার অর্থাৎ ২০১৬ সালে ফের ক্ষমতায় এসে মমতা রাজ্যের নাম বদলের চেষ্টা করেন। এত দিনে সেই উদ্যোগ সফল হতে চলেছে।