পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের ফল ঘিরে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের ফলতৈরি গণনার মঞ্চ

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের ফল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। আট দফার ভোট নিয়ে কম কাটাছেড়া হয়নি গত দু’মাস ধরে। আপাতত সে সব শেষ। রাত পোহালেই গণনা। এক এক করে বেরতে থাকবে ফল। কখনও কেউ এগিয়ে তো কখনও কেউ। এক্সিটপোল বলছে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হলেও জিতবে তৃণমূলই। তৃতীয়বার সরকার গঠন করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দাঁড়িয়েও আত্মবিশ্বাসী ভারতীয় জনতা পার্টি।  দীলীপ ঘোষের চ্যালেঞ্জ ২০০-র বেশি আসন পাবে বিজেপি।

এই অবস্থায় গোটা বাংলার নজর থাকবে একটি জায়গাতেই। আর সেটা হল নন্দীগ্রাম। এবার নন্দীগ্রামের ভোট একদমই আলাদা। নিজের চিরচেনা কেন্দ্র ছেড়ে প্রাক্তন সতীর্থকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে লড়ার যেদিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী সেদিন থেকেই নন্দীগ্রামের ভোট আর এখন ফল গুরুত্বের নিরিখে সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। এর সঙ্গে নতুন করে নজরে থাকবে শীতলকুচিও। ২০২১-এর ভোটের রক্তাক্ত ইতিহাস লেখা রয়েছে সেখানেই।

নন্দীগ্রামে মমতার উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। বোঝাই যাচ্ছে কী উত্তেজনায় কাটছে দু’পক্ষের প্রার্থী থেকে কর্মী— সকলের। নন্দীগ্রামের ভোট গণনা হবে হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড স্কুলে। দু’পক্ষের গলায় চাপা উত্তেজনার সঙ্গেই রয়েছে জয়ের আত্মবিশ্বাস। দু’পক্ষই চাইছে যে মুহূর্তে ঘোষণা হবে ফল তখন থেকেই উৎসব শুরু করে দিতে। মনে মনে প্রমাদ গুণছে সকলেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটের বাড়িতে বসেই নজর রাখবেন নন্দীগ্রাম সহ গোটা বাংলার দিকে।

মনে করা হচ্ছে এখানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে জোট। কারণ জোটের মুখ নন্দীগ্রামে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জয়ের সম্ভাবনা না থাকলেও তিনি যে দু’পক্ষের ভোট কেটে তৃণমূল-বিজেপির লড়াইকে জমিয়ে দেবেন তা নিয়ে একটা চাপা গুঞ্জন রয়েছে। তিনিও যথেষ্ট পরিচিত মুখ। যে কারণেই তৃণমূল, বিজেপির বিক্ষুব্ধরা বেছে নেবেন মিনাক্ষীকেই। কিছুদিন আগেই নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত অফিস থেকে নথি গায়েবের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।

এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা চলছেই বাংলায়। গণনা নিয়েও এদিন বেঁধে গেল দু’পক্ষের ঝামেলা। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় কাইন্টিং এজেন্টদের বৈঠকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এসাকা। তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উধাও হয়ে যায় সব করোনাবিধি। পুলিশকেও তা সামলাতে হিমশিম খেতে হয়।

আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের প্রার্থী ও এজেন্টদের বার্তা দিয়ে দিয়েছেন, যতক্ষণ না গণনা শেষ হচ্ছঝে ততক্ষণ কেউ গণনাস্থল ছেড়ে যাবেন না। প্রাথমিক ফলাফলে কেউ হতাশ হয়ে পড়বেন না। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা অনেক আসন পাব সেটা নিশ্চিত। আমাদের জয় নিশ্চিত। কিছু আসনে বিজেপি গণ্ডোগোল করার চেষ্টা করবে। সেখানে সতর্ক থাকতে হবে। তার মধ্যে রয়েছে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার। বিজেপির সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের একাংশের বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছে। শুরু থেকেই তারা বলতে শুরু করবে বিজেপি এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। গণনা শেষে তৃণমূলই জিতবে। গণনাকেন্দ্রে কোনও সমস্যা হচ্ছে মনে হলে দলকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)