অষ্টম দফার ভোট: ৪ জেলার ৩৫ আসনের লড়াই দিয়ে শেষ বাংলার ভোট

অষ্টম দফার ভোটছবি: টুইটার

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: অষ্টম দফার ভোট ঘিরে সকাল থেকেই অল্পবিস্তর উত্তেজনার খবর আসছে। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পাহারায় চলছে শেষ পর্বের ভোট গ্রহন। উত্তর কলকাতা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে বচসা, বহিরাগতদের হানা, তা নিয়ে আক্রামণ পাল্টা আক্রমণ, প্রার্থীদের অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ সব নিয়েই চলছে পশ্চিমবঙ্গের শেষ দিনের ভোট।

এদিনই ছিল শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথের পুনর্নির্বাচন। সেখানের ভোট ঘিরেও ছিল টান টান উত্তেজনা। ৯৬৬ জন ভোটারের জন্য সেখানে ১০০ জন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন যাতে আর কোন‌ও মর্মান্তিক ঘটনা না ঘটে। ১০ এপ্রিল এই এলাকায় ভোট চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৪জন ভোটারের। কেউ দাঁড়িয়েছিলেন ভোটের লাইনে তো কেউ সেই এলাকা দিয়ে বাড়ির পথে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরা হয়নি। তাঁদের পরিবারের লোকেরা এদিন ভোট দিলেন।

এদিকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সব থেকে কম ভোট পড়েছে কলকাতায়, ৪২ শতাংশ। সব থেকে বেশি ভোট পড়েছে বীরভূমে, ৬০ শতাংশ। মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৫৯ শতাংশ। এদিকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে এদিন বহরমপুরে ভোট দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি ভোট দেখে খুশি।

ইলামবাজারে বহিরাগতদের ২০০ মিটারের মধ্যে থাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ঝামেলায় জরিয়ে পড়েন বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে বার বার এসে জমা হচ্ছে প্রচুর বহিরাগত। তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বললে কেন্দ্রীয় বাহিনী সহযোগিতা করেনি। পরে তাঁর অভিযোগে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয় সেখানে। এর মধ্যেই শ্যামপুকুরের বিজেপি প্রার্থী সন্দীপন বিশ্বাস নাকি করোনা পজিটিভ অবস্থায় বুথে বুথে ঘুরছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী শশী পাঁজা। যদিও সন্দীপনের দাবি তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ।

এর মধ্যেই নজরবন্দি থাকা বীরভূমের  তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল মেয়েকে সঙ্গে করে ভোট দিলেন। তাঁকে নিয়ে গতকাল থেকে কম নাস্তানাবুদ হতে হয়নি নিরাপত্তা বাহিনীকে। এদিকে মালদহে ঘটল আরও এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। করোনা আক্রান্ত অবস্থাতেই সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা বুথে ভোটের কাজ করলেন আশাকর্মী। তিনি তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসার কথা সকলকেই জানিয়েছিলেন কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের কেউ তা শোনেইনি বরং তাঁকে ভোটের কাজ করতে হবেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

চাকরী বাঁচাতে তাই তিনি সকালেই পৌঁছে গিয়েছিলেন কেন্দ্র। এর পর খবর ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে ক্রমশ। তার পরই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। শেষ পর্যন্ত সানে ১২টা নাগাদ তাকে বাড়ি পাঠানো হয়। ততক্ষণে যদি তাঁর সংস্পর্শে আসা মানুষগুলো যদি সংক্রমিত হয়ে থাকেন সেই দায় কে নেবে?

কলকাতায়ও অল্পবিস্তর গণ্ডোগোলের খবর পাওয়া গিয়েছে। মালিকতলায় বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সামনেই তাঁর গাড়িতে হামলার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আক্রান্ত হয়েছেন প্রার্থী নিজে। তৃণমূল-বিজেপির অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ সেখানে উত্তেজনা ছড়ায়।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)