রাস্তা আটকে যাদবপুরে দাবা-ক্রিকেট, ধর্মঘটের অভিনব পন্থায় বামেরা

রাস্তা আটকে যাদবপুরে দাবা-ক্রিকেট, ধর্মঘটের অভিনব পন্থায় বামেরারাস্তা আটকে যাদবপুরে দাবা-ক্রিকেট

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রাস্তা আটকে যাদবপুরে দাবা-ক্রিকেট খেলে ধর্মঘটের অভিনব পন্থা নিল বামেরা। পরিকল্পনাই ছিল, এ বারের ধর্মঘটে ছক পাল্টাতে হবে। নির্দেশ ছিল, অন্তত দুপুর পর্যন্ত রাস্তাতেই থাকতে হবে। সেই নির্দেশ পালন করতেই অভিনব পন্থা নিল যাদবপুরের বাম মনোভাবাপন্ন ছাত্রছাত্রীরা। কখনও রাস্তার মাঝে খেলা হল ক্রিকেট। কখনও আবার চেয়ার-টেবিল পেতে চলল দাবা খেলা।

পুরোপুরি অচল না হলেও বুধবার গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘটের প্রভাব পড়ল। সকাল থেকেই ধর্মঘটিরা রাস্তায় নেমে পড়েন। বিভিন্ন জায়গা থেকে রাস্তা এবং রেল অবরোধের খবর আসতে শুরু করে। ব্যাহত হতে সুরু করে জনজীবন।


আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে ছিলেন তাঁর দল কোনও ভাবেই ধর্মঘট সমর্থন করে না। এই ধর্মঘট ডাকার ইস্যুগুলি সমর্থন করলেও, ধর্মঘট যে করতে দেবে না তাঁর সরকার, সেটাও তিনি আগেই জানিয়েচিলেন। সেই মতো প্রস্তুত ছিল পুলিশ-প্রসাসনও। এ দিন দুপুরে মমতা অভিযোগ করেন, ধর্মঘটের নামে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় সিপিএম গুন্ডামি করেছে। গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, “এরা বছরে চারটে করে বন্‌ধ ডাকে সস্তার জনপ্রিয়তা পেতে। এদের রাজনৈতিক ভাবে মৃত্যু হওয়া প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, “পারলে আমাদের মতো আন্দোলন করুক। গুন্ডামি করে কোনও আন্দোলন হয় না। সাধারণ মানুষের অসুবিধা করছে কেন। এর থেকে কেরলের সিপিএম ভাল। তবু ওখানে কিছু মতাদর্শ বেঁচে আছে।”

মমতার এই বক্তব্যের প্রবল বিরোধিতা করে বাম ও কংগ্রেস। প্রতিক্রিয়ায় তারা জানায়, মমতা আন্দোলন মানে তো বিধানসভা ভাঙচুর। বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এত দিন দূরবীন দিয়েও সিপিএমকে দেখতে পাচ্ছিলেন না। আজ পেয়েছেন। ওঁর কথায় স্পষ্ট রাজ্যে ধর্মঘট সর্বাত্মক।”

তবে এর মধ্যেই মালদহের কালিয়াচকের সুজাপুরের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশ এবং অবরোধকারীদের মধ্যে সংঘর্ষএবং পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর খবর আগেই এসেছিল। কিন্তু ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োতে দেখা যায়, উর্দি পরা পুলিশ কর্মীরা সুজাপুরে দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক গাড়িতে ইট-লাঠি দিয়ে ভাঙচুর চালাচ্ছে। জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া পরে জানান, বেশ কিছু গাড়িতে কয়েক জন কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে ভাঙচুর করতে দেখা গিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন। ওই পুলিশ কর্মীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে প্রয়োজনীয় এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তিনি জানিয়েছেন।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)