কলেজে টাকা নিয়ে ভর্তি প্রসঙ্গে দলের মনোভাব কড়া, ছাত্র সংগঠনকে জানিয়ে দিল তৃণমূল

কলেজে টাকা নিয়ে ভর্তিকলেজে টাকা নিয়ে ভর্তি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কলেজে টাকা নিয়ে ভর্তি প্রসঙ্গে দলের মনোভাব কড়া, ছাত্র সংগঠনকে জানিয়ে দিল তৃণমূল। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের পর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী জয়া দত্ত জানিয়ে দিলেন, কলেজে টাকা নিয়ে ভর্তির ঘটনায় ছাত্র সংগঠনের কেউ দায়ী নয়। তাঁর মতে, বহিরাগত এবং প্রাক্তনরাই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

একই কথা এ দিন শোনা গিয়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখেও। তিনি তাঁর বাড়িতে সাংবাদিকদের ডেকে জানিয়ে দেন, কলেজে টাকা নিয়ে ভর্তির ঘটনার কথা তাঁর জানা নেই। এ বার থেকে অনলাইনেই ছাত্র ভর্তি হবে। এবং গোটাটাই মেধার ভিত্তিতে। তবে কেন্দ্রীয় অনলাইন ব্যবস্থা এখনও শিক্ষা দফতরের হাতে নেই। তার কারণ হিসাবে পার্থবাবু পরিকাঠামোর অভাবকেই দায়ী করেছেন।

বেশ কিছু দিন ধরে অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিকের ফল বেরনোর পর থেকেই অভিযোগ আসতে শুরু করে, রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে টাকার বিনিময়ে ছাত্র ভর্তি করা হচ্ছে। এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত শাসকদলের ছাত্রনেতারা। হাতেনাতে কয়েক জায়গায় তাঁদের কয়েক জন ধরাও পড়েছেন। পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর তাঁদের পরিচয় জানা গিয়েছে। প্রত্যেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা।

শোভন-বৈশাখী একসঙ্গে আদালতে, কাটালেন ঘণ্টাখানেক, রত্না চাইলেন খোরপোষ

এর পরেই দলের ছাত্র সংগঠনকে সতর্ক করতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বারে বারেই বলতে থাকেন, ছাত্র সংগঠন ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। কোনও ভাবেই যেন তাঁদের কাছ থেকে টাকাপয়সা নেওয়া না হয়। এমন তোলাবাজি যে তিনি বরদাস্ত করবেন না, সে কথাও বারে বারে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পর কলকাতা -সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কলেজে কলেজে পুলিশি প্রহরা বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি। সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশও দেওয়া হয় নবান্ন থেকে। মুখ্যমন্ত্রী আলাদা ভাবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাদা করে বৈঠক করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

সোমবার উত্তর কলকাতা এবং মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার ছাত্র সংগঠনের নেতানেত্রীদের সঙ্গে তৃণমূল ভবনে বৈঠক করেন জয়া দেবী। পরে তিনি জানিয়ে দেন, কলকাতার চারটি কলেজে ছাত্র সংগঠনের ইউনিট ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। কারণ হিসাবে জানান, বহিরাগত এবং প্রাক্তনদের জুলুমবাজি ঠেকাতে না পারার দায়েই ওই ইউনিটগুলি ভেঙে দেওয়া হল। এ দিন তোলাবাজি করে ছাত্র ভর্তির অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।