ত্রিলোচন মাহাতো খুনে গ্রেফতার পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতা সৃষ্টিধর মাহাতোর ছেলে

ত্রিলোচন মাহাতোত্রিলোচন মাহাতো

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ত্রিলোচন মাহাতো খুন হয়েছিলেন পুরুলিয়ায়। রাজ্যে তখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহ। ৩০ মে ভোরে বিজেপি যুব মোর্চার ওই কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লকের সুপুরডি গ্রামে। সেই ঘটনায় এ বার জেলার তৃণমূল নেতা সৃষ্টিধর মাহাতোর ছেলে সন্দীপকে গ্রেফতার করল সিআইডি। এই নিয়ে ত্রিলোচন মাহাতো খুনের ঘটনায় তিন জন গ্রেফতার হল। তাঁদের মধ্যে দু’জনই তৃণমূল কর্মী।

খুনের ঘটনায় ছেলের গ্রেফতারি নিয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা সৃষ্টিধর মাহাতো যদিও কোনও মন্তব্য করেননি। জেলার তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো জানিয়েছেন, গ্রেফতারির কথা শুনলেও তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

গত ৩০ মে সুপুরডির খুঁদিগোড়ায় রাস্তা থেকে কিছুটা দূরে একটি গাছ গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ১৮ বছরের ত্রিলোচন মাহাতো-র দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় তাঁর পরনে একটি শাদা টি-শার্ট এবং একটি খয়েরি রঙের ছোট প্যান্ট পরা ছিল। ওই টি-শার্টের পিছনে লেখা ছিল— ‘এ বার বোঝ ১৮ বছর বয়সে বিজেপি করা’! ঘটনাস্থল থেকে একটি কাগজ উদ্ধার হয়। সেই কাগজে লেখা ছিল, ‘১৮ বছর বয়সেই বিজেপির রাজনীতি এ বার তোর প্রাণনীতি হল। তোকে ভোট থেকেই এই কাজটা করার চেষ্টা করি। পারিনি। আজকে তোর প্রাণ শেষ।’

মাঝেরহাট সেতু ভাঙার দায় পূর্ত দফতরেরও, নবান্নে ঘোষণা মমতার

ওই ঘটনার পর তদন্তভার দেওয়া হয় রাজ্য গোয়েন্দা দফতর সিআইডিকে। তারা প্রথমে পাঞ্জাবি মাহাতো বলে এক যুবককে গ্রেফতার করে। সেই পাঞ্জাবিকে জেরা করে উত্তম পাল নামে এক তৃণমূল কর্মীর সন্ধান পায় সিআইডি। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। উত্তমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সৃষ্টিধরের বড় ছেলে পেশায় ব্যবসায়ী সন্দীপ মাহাতোর নাম উঠে আসে। শুক্রবার তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠান সিআইডি-র গোয়েন্দারা। সেই মতো সন্দীপ দেখাও করেন গোয়েন্দাদের সঙ্গে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সন্দীপের বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি ধরা পড়ে বলে সিআইডি সূত্রে খবর।

এর পরেই শনিবার দুপুরে সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডি গোয়েন্দাদের দাবি, এই ঘটনায় যুক্ত আছেন আরও অনেকে। তবে সন্দীপই ওই খুনের পরিকল্পনার মূল মাথা কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ দিন সন্দীপকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে ৯ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।