তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক খুনের পর এ বার শিকার বজবজের কাউন্সিলর

তৃণমূল কংগ্রেসমিঠুন টিকাদারের অবস্থা সংকটজনক।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের উপর হামলা খোদ তাঁর পার্টি অফিসের মধ্যে। বজবজের ঘটনা। সোমবার রাতে পার্টি অফিসে ঢুকে মিঠুন টিকাদারকে সামনে থেকে গুলি করে পালায় দু’জন। ঠিক ১০ দিন আগে নিজের এলাকায় খুন হয়েছিলেন হয়েছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। তাঁর খুনের মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুন্ডারিকে সোমবারই পশ্চিম মেদিনীপুরের রাধামোহনপুর স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।নদিয়া জেলার পুলিশ সুপার রুপেশ কুমার এমনটাই জানিয়েছেন।আর সে দিনই গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর।

কৃষ্ণনগরের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস নিজের জেলার ফুলবাড়ি গ্রামে এক সরস্বতী পূজোর অনুষ্ঠানে জনসমক্ষে খুন করে চলে যায় একদল দুস্কৃতি। আর সোমবার নিজের এলাকায় পার্টি অফিসের মধ্যে গুলি বিদ্ধ হলেন বজবজের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বজবজের একটি নাসিংহোমে। কিন্তু খুব বেশি রক্তপাত হওয়ায় অবস্থা খারাপ হতে থাকে মিঠুনের। তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার হাসপাতালে।

সে দিনও আঙুল উঠেছিল বিজেপির দিকে। এ দিনও আঙুল উঠেছে বজেপির দিকে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। এর পিছনে যেমন বিজেপির হাত দেখতে পাচ্ছেন অনেকে তেমনই দুটো হামলার পিছনে তৃণমূলের অন্দরের রেশারেশির কথাও চলে আসছে প্রকাশ্যে। এমনটাই ইঙ্গিত করেছে বিজিপি।

খুন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস, দুষ্কৃতীরা গুলি করে পালায় তাঁকে

বজবজ পুরসভার সহ-সভাপতি গৌতম দাশগুপ্তই মিঠুন টিকাদারকে হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দু’জন ছেলে পার্টি অফিসের মধ্যে ঢুকে খুব সামনে থেকে গুলি চালায়। গুলি লাগে মিঠুনের বুকে ও পেটে। এবং পার্টি অফিস থেকে বেরনোর সময় সেই দুস্কৃতিরা বোম ছুড়তে ছুড়তে চলে যায়। আদৌ মিঠুন আক্রমণকারীদের চিনতেন কিনা সেটা জানতে চায় পুলিশ। কিন্তু যতক্ষণ না সংকট কাটছে আহত কাউন্সিলরের ততক্ষণ জানার কোনও উপায় নেই।

অন্যদিকে, বিধায়ক খুনে ইতিমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের রাতেই সুজিৎ মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৪ ফেব্রুয়ারি হাঁসখালি থেকে কালিপদ মণ্ডল ও চাকদা থেকে নির্মল ঘোষ গ্রেফতার হয়। আর সোমবার গ্রেফতার হল অভিজিৎ পুন্ডারি। এই খুনের পিছনে উঠে এসেছিল প্রাক্তন তৃণমূল ও বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নামও। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট ১৩ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে নির্দেশ দেয় ৭ মার্চ পর্যন্ত এই খুনের দায়ে তাঁকে গ্রেফতার না করতে।

(বাংলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)