মহিষাদলে শুভেন্দুর সভা, মুখে ছিল না কোনও রাজনৈতিক কথা

মহিষাদলে শুভেন্দুর সভা

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: মহিষাদলে শুভেন্দুর সভা, মুখে আনলেন না কোনও রাজনৈতিক কথা। মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও নীল-সাদা মঞ্চেই রবিবার দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে রবিবার মহিষাদলে শুভেন্দুর সভা থেকে উঠে এল না কোনও রাজনৈতিক বার্তা। তিনি বললেন, ‘‘এ দেশের সংবিধানের শক্তিতে মানুষই শেষ কথা বলে।’’

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এখন তৃণমূলের সাধারণ বিধায়ক। তবুও রবিবার তাঁর সভায় সমাগম কম হয়নি। শুভেন্দু নিজে হাজার আটেক মানুষের সমাগম হয়েছে বলে দাবি করেন। এখনও পর্যন্ত তিনি দল ছাড়ার বিষয়ে দূরের কথা, সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণও করেননি।

বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি নানা অরাজনৈতিক সভা করলেও সে ভাবে রাজনীতির কথা বলেননি। কিন্তু মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর কি সেই পথে হাঁটবেন? এ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয় শুক্রবার মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর থেকেই। কিন্তু শুভেন্দুর মুখ থেকে রবিবার যাঁরা রাজনৈতিক বক্তব্য শোনার অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা হতাশই হলেন। বক্তব্যের বেশি অংশ জুড়েই স্বাধীনতা সংগ্রামে পূর্ব মেদিনীপুরের অবদান প্রসঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। উল্লেখ করেন তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠনের কথা। ডিসেম্বর মাসে তিনি সঙ্গীদের নিয়ে ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিন ও তাম্রলিপ্ত সরকার গঠনের বর্ষপূর্তি পালন করবেন তিনি।

প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর মন্ত্রী না-থাকা শুভেন্দুর এটাই ছিল প্রথম সভা। শুক্রবার মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর থেকেই কার্যত লোকচক্ষুর আড়ালে থাকেন শুভেন্দু। শনিবার প্রায় দিনভর কাঁথির বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’-এই কাটান শুভেন্দু। পূর্ব ঘোষণা মতোই এ দিন সদ্যপ্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ বয়ালের স্মরণসভায় আসেন তিনি। মহিষাদল রাজবাড়ির ছোলাবাড়িতে হয় সভা। তৈরি হয় ৩৫০ ফুট বাই ১০০ ফুটের একটি সামিয়ানা। তার ভিতরেই তৈরি হয় মঞ্চ। রবিবার মহিষাদলের সভা বেলা ৩টে থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুভেন্দু আসেন সওয়া ৪টে নাগাদ।

(বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)