শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম থেকে ঘোষণা করলেন, ‘এ বার রাজনীতির মঞ্চে দেখা হবে’

শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা গ্রহনশুভেন্দু অধিকারী

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারী কি তৃণমূল থেকে সরে যাবেন? এই প্রশ্নে বেশ কিছু দিন ধরেই সরগরম বাংলার রাজনীতি। প্রকাশ্যে এ বিষয়ে এত দিন নীরব ছিলেন তৃণমূলের এই নেতা তথা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। কিন্তু মঙ্গলবার তৃণমূলের ধাত্রীভূমি নন্দীগ্রাম থেকেই শুভেন্দু অধিকারী ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিলেন। ঘোষণা করলেন, ‘‘এ বার দেখা হবে লড়াইয়ের মআঠে। এ বার দেখা হবে রাজনীতির মঞ্চে।’’

এ দিন নন্দীগ্রামের শহিদদের স্মরণসভা ছিল। সেখানে শুভেন্দু জানান, তিনি কী করবেন তা নিয়ে অনেকেই নানা রকম জল্পনা করছে। তবে তিনি সে সব কথা এই মঞ্চ থেকে বলবেন না। সেই কথা তিনি রাজনীতির মঞ্চ থেকেই বলবেন। তাঁর কথায়, ‘‘এই পবিত্র মঞ্চ রাজনীতির মঞ্চ নয়। রাজনীতির কথা এখানে বলব না। কোন রাস্তায় আমি স্বচ্ছন্দ, কোন রাস্তা গর্তে ভরা সে সব রাজনীতির মঞ্চে বলব।’’


বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ দিন শুভেন্দু এক বারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেননি। তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের আন্দোলনে আমরা হিন্দু-মুসলমান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি। সে লড়াই ছিল মানুষের লড়াই। কোনও ব্যক্তির লড়াই ছিল না।’’

এ দিনের বক্তব্যের শেষে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘খুব ভাল লাগছে? ১৩ বছর পরে নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে! ৭ জানুয়ারি সূর্য ওঠার আগে বন্ধুরা আসবেন তো? ভোটের আগে আসছেন। ভোটের পরেও তো আসতে হবে। লড়াইয়ের মাঠে দেখা হবে। রাজনীতির মঞ্চে দেখা হবে। সঙ্গে আছেন তো? এ লড়াইতে মানুষ জিতবে। গণতন্ত্র জিতবে। শুভেন্দু অধিকারী ভয় পায় না।’’ তিনি বক্তব্য শেষ করেন, ‘জয় বাংলা, ভারতমাতা জিন্দাবাদ’ বলে।

শুভেন্দুর বক্তব্য দেখুন…

সকালে শুভেন্দুর বড় সমাবেশের পর এ দিন বিকেলে নন্দীগ্রামেরই হাজরাকাটায় একটি সভা করে তৃণমূল। শুভেন্দুর সভার মতো সেখানেও ভিড় ছিল বিস্তর। আর সেখানেই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের আন্দোলনে মমতাকে ভুলে যাওয়া, মমতার বিরোধিতা করার অর্থ বিজেপির হাত শক্ত করা।’’ সরাসরি শুভেন্দুর নাম না করে ফিরহাদ বলেন, ‘‘আমি-আমি করে বিজেপিকে সুবিধা করে দেবেন না। বিজেপি বিপজ্জনক দল।’’


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)