কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ছাত্র বিক্ষোভ অব্যহত

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ছাত্রদের ধর্ণা অব্যহত। এখনও পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের দাবি থেকে থেকে সরা দাঁড়ানোর কোনও আভাস দেয়নি।কল বরং আজ ছাত্রদের এই অবস্থান বিক্ষোভ সাত দিনে পড়ল। এই পুরো দলের মধ্যে ছ’জন মঙ্গলবার থেকে নির্জলা অনশন শুরু করেছেন। এই ছাত্রদের দাবি হস্টেল দেওয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে স্বচ্ছ্বতা রাখতে হবে।

বুধবার কলেজ কর্তৃপক্ষ  ছাত্রদের সঙ্গে কথা বললেও বরফ গলেনি। ছাত্ররা  প্রতিবাদ বন্ধ করবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন। এর পর প্রিন্সিপাল কলেজ কাউন্সিলের মিটিং ডেকেছেন। এক ছাত্র জানিয়েছেন, তাঁরা এমন হস্টেলের ঘরে থাকেন যেখানকার সিলিং যে কোনও সময় ভেঙে পড়বে। একজন ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র সিলিং ভেঙে পড়ে আহতও হয়েছেন।

কলেজে টাকা নিয়ে ভর্তি প্রসঙ্গে দলের মনোভাব কড়া

কলেজের প্রিন্সিপাল ডাক্তার ইউকে ভদ্র স্ট্রাইক তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন ছাত্রদের প্রতিনিধিদের কাছে। কিন্তু লাভ হয়নি। এমবিবিএস-এর এক ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি যতক্ষণ না মানা হবে ততক্ষণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে। ছাত্ররা আরও জানিয়েছেন, ১১ তলার যে বাড়িটি হস্টেলের জন্য তৈরি হয়েছে সেখানে কম করে ৬৫০ ছাত্র থাকতে পারে। কিন্তপ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে  নতুন সার্কুলার এনে জানিয়ে দেয় ওই নতুন হস্টেলে শুধু নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্ররাই থাকবে। মেডিক্যাল কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী নতুন ছাত্রদের পুরনোদের থেকে দুরে রাখা হবে।

এক ছাত্রের প্রশ্ন, এমসিআই-এর নিয়মে কখনও এটা লেখা ছিল কি যে আলাদা হস্টেলে থাকতে হবে। সেখানে বলা ছিল আলাদা ব্লক বা আলাদা তলায় ওয়ার্ডেনের দেখাশোনায় রাখা হবে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রদের জন্য ইতিমধ্যে নতুন হস্টেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতে আরও বেশি প্রভাব পড়েছে এমবিবিএস-এর ছাত্রদের উপর। তাঁদের বক্তব্য তাঁরা  র‍্যাগিং করবে না বলে বন্ডে সই করার পরও তাদের না দিয়ে যারা এমন কোনও বন্ডে সই করেনি তাঁদের নতুনদের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতে কেন দেওয়া হল?

১১ তলার যে বাড়িটি হস্টেলের জন্য তৈরি হয়েছে সেখানে কম করে ৬৫০ ছাত্র থাকতে পারে। কিন্তপ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে  নতুন সার্কুলার এনে জানিয়ে দেয় ওই নতুন হস্টেলে শুধু নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্ররাই থাকবে।

পাশাপাশি একজন এমবিবিএস ডাক্তারকেই নতুন হস্টেলের সুপারের দায়িত্ব দেওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না ছাত্ররা। চূড়ান্ত অনিময়ের অভিযোগ আনছেন তাঁরা। কাউন্সিলের মিটিং আদৌ কতটা এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে এখন সেটাই দেখার।