লকডাউনে সুনসান রাজ্য, কলকাতা-সহ প্রত্যেক জেলায় বিধিনিষেধে কড়া পুলিশ

লকডাউনে সুনসান রাজ্য

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: লকডাউনে সুনসান রাজ্য, প্রত্যেক জেলায় অত্যন্ত কড়া ভাবে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। নবান্ন নির্দেশিকা আগেই জানিয়েছিল, করোনা রুখতে চলতি সপ্তাহে দু’দিন কঠোর লকডাউন করা হবে। বৃহস্পতিবার ছিল তারই প্রথম দিন। আগামী শনিবার অর্থাৎ ২৫ জুলাই সপ্তাহের দ্বিতীয় লকডাউন হবে। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহেই দু’দিন করে কঠোর লকডাউন হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকের পরেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

লকডাউনের প্রথম দিনেই পুলিশকে দেখা গেল অত্যন্ত কড়া ভূমিকায়। এ দিন সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় চলেছে নাকা তল্লাশি। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত না থাকার কেউ রাস্তায় বেরলেই শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। চলেছে ধরপাকড়। প্রত্যেক জেলা সীমানায় নজরদারি রয়েছে পুলিশের। সদর রাস্তা থেকে অলিগলির সর্বত্রই পুলিশের কড়া চোখ ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাছি গলারও উপায় নেই।


লকডাউন সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

বন্ধ রয়েছে বাজারঘাটও। লকডাউনে সুনসান রাজ্য, রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ ভ্যান। কলকাতার শ্যামবাজার থেকে বেহালা, গড়িয়াহাট, রাসবিহারী, টালিগঞ্জ, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ-সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের কড়া নজরদারি চোখে এসেছে। শুধু কলকাতা নয়, বিভিন্ন জেলাতেও পুলিশ কড়া ভাবে লকডাউনের বিধিনিষেধ যাতে মানা হয়, তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হয়েছে। নবান্নের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এ দিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে। এখন থেকে সপ্তাহে দু’দিন এই বিধিনিষেধ।

এক দিকে যেমন পথে নেমে নজরদারি চালানো হচ্ছে, তেমনই লালবাজারের কন্ট্রোল রুম থেকেই সিসি ক্যামেরায় নজর রেখেছেন পুলিশ অফিসারেরা। জেলা থেকে কলকাতায় ঢোকার মুখে সমস্ত গাড়িকে আটকানো হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের বিশেষ বাহিনী রাস্তায় নামে। রাজাবাজার, পার্ক সার্কাস এবং খিদিরপুর এলাকাতে অলিগতিতে ঢুকে পুলিশি টহল চলছে। পার্ক স্ট্রিট, রিপন স্ট্রিট, নিউ আলিপুর, তারাতলায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাইক আটকেছে পুলিশ। বেশির ভাগকেই বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক গাড়ি বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদেরও পথে নামতে দেখা গিয়েছে।

দেশ জুড়ে লকডাউনের প্রথম দিকের পর্যায়গুলিতে এমন পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল রাজ্যে। পরে আস্তে আস্তে বিষয়টিতে শিথিলতা দেখা দেয়। রাস্তায়, মোড়ে মোড়ে জটলার পাশাপাশি বাজারঘাটে প্রচণ্ড ভিড় হতে শুরু করে। আনলক পর্ব শুরু হতেই সমস্ত বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পথে নামতে দেখা যায় জনগণকে। এ সবের ফলে রাজ্য জুড়ে করোনা সংক্রমণের মাত্রা লাগামছাড়া হয়ে যায়। তার পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ দিনের লকডাউন চলছে।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)