সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু, শহুরে আদবকায়দা না জানায় আত্মহত্যা!

সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুসেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রসঙ্গে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। হুগলির সিঙ্গুর থেকে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়তে এসেছিলেন হৃষীক কোলে। দু’দিন কলেজে ক্লাস করেছেন। তার পর দু’দিন ধরে নিঁখোজ। এর পর বৃহস্পতিবার রাতে বেলুড়ের কাছে একটি ধড়-মুণ্ড আলাদা দেহ উদ্ধার করে রেলপুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই দেহ হৃষীকের বলে শনাক্ত করে তাঁর পরিবার। তার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আত্মহত্যাই করেছিলেন সিঙ্গুরের ওই মেধাবী ছাত্র?

জল্পনাটা উস্কে দিয়েছে তাঁর বাবা। পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন, শহুরে আদবকায়দা এবং ইংরেজি ভাল ভাবে বলতে না পারায় কলেজে ঠিক মতো মানিয়ে নিতে পারছিলেন না হৃষীক। তাই অবসাদে ভুগছিলেন কয়েক দিন ধরে। কিন্তু তার জেরে ছেলে যে আত্মহত্যা করতে পারে সেটাও মানতে পারছেন না তিনি। ফলে ওই রহস্যমৃত্যুর কারণ নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে কি এটা নিছকই দুর্ঘটনা? পুলিশ এ নিয়ে ‘তদন্ত চলছে’ বলে মুখে কুলুপ এঁটেছে বলে খবর।

বাংলার আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে

আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস রোডে সেন্ট জেভিয়ার্সের হস্টেল। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ সেই হস্টেল থেকে বেরিয়ে হৃষীক আর ফেরেননি। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় হৃষীকের স্থানীয় অভিভাবক এবং সিঙ্গুরে তাঁর বাড়িতে ফোন করেন হস্টেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাড়িতে হৃষীক যাননি জানার পর হস্টেল কর্তৃপক্ষ বেনিয়াপুকুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই হস্টেলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেখানে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে হস্টেল থেকে বেরিয়ে হৃষীক বেকবাগানের দিকে যাচ্ছেন। তার পরে আর কোথাও তাঁকে দেখা যায়নি। মোবাইলও সুইচড অফ পাওয়া যায়। পুলিশ জানতে পারে, তাঁর মোবাইলের লাস্ট লোকেশন বেকবাগান দেখাচ্ছিল।  এর পরে ওই দিন রাতে বেলুড়ের কাছে রেললাইনের উপর থেকে একটি দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের ধড় এবং মুণ্ড আলাদা হয়ে গিয়েছিল। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই দেহ হৃষীকের বলে শনাক্ত হয়।

রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হৃষীকের পকেটে সিঙ্গুর যাওয়ার একটি টিকিট পাওয়া যায়। সেটি হাওড়া স্টেশন থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ কাটা হয়েছিল। টিকিট কেটে বাড়ি যাবেন যদি মনোস্থির করে থাকেন, তা হলে আত্মহত্যা কেন করলেন হঠাৎ? উঠেছে প্রশ্ন। আবার কলেজ হস্টেলের রুমমেটদের একাংশ জানিয়েছেন, হৃষীক ক্লাসে ইংরেজি বলতে পারা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল। সে কারণে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন বলে জানান তাঁর বাবা। তা হলে কি সেই অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা? পুলিশ এখনও সবটা খতিয়ে দেখছে। তবে এটি যে নিছক দুর্ঘটনা নয়, সে কথাও মানছেন পুলিশের একাংশ।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)