এসএসসি-র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা তুলে নিলেন অনশন, আশ্বাসে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি

এসএসসিঅনশনকারীদের মধ্যে মমতা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এসএসসি-র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের অনশন প্রত্যাহার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার বিকেলে অনশন প্রত্যাহার করে নিলেন আন্দোলনকারীরা। গত ২৯ দিন ধরে তাঁরা ধর্মতলার কাছে প্রেসক্লাবের সামনে মেয়ো রোডের উপর অনশনে বসেছিলেন।

বুধবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী এসএসসি-র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের অনশনস্থলে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে জানান, তাঁর পুরো সহমর্মিতা রয়েছে তাঁদের প্রতি। তিনি বলে‌ন, ‘‘আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন। অনশন তুলে নিন।’’

এ দিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন অনশনকারীরা। এক অনশনকারী জানান, তাঁরা সাময়িক ভাবে অনশন প্রত্যাহার করছেন। বুধবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কাছে এসে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সমস্যা মেটাতে প্রাণপণ চেষ্টা করবেন বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়েই ওই অনশন সাময়িক ভাবে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আন্দোলনকারী।

রাজ্যের আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের কারণে জুন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। মুখ্যমন্ত্রী দেওয়া সময়কেই চূড়ান্ত ধরে নিয়েই আন্দোলনকারীদের দাবি, যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তবে ফের অনশনে বসবেন তাঁরা। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী অনশনকারীদের একটি কমিটি গড়ার কথা বলেছিলেন। সেই মতো একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েচিলেন, একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করতে। এ দিন বিকাশ ভবনে ওই দুই কমিটি আলোচনা করে। সেখানে আন্দোলনকারীদের ১৪ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা হয়। সমস্যা খতিয়ে দেখতে এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর কমিটির তরফে।

এসএসসি-র চাকরিপ্রার্থীরা অনশন তুলে নেওয়ার পর এ দিন দুপুরে প্রায় ওই একই জায়গায় অনশনে বসেন মাদ্রাসার চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৩ সালে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন বিজ্ঞপ্তি দেয়, ৩১৮৩টি শূন্য পদে নিয়োগ হবে। কিন্তু শূন্য পদ আপডেট না হওয়ায় প্রায় দুশো প্রার্থী চাকরি পাননি। এই সমস্যার সমাধানে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হয়।

অনশনরত এক মাদ্রাসার চাকরিপ্রার্থী দাবি করেন, এই ক’বছরে মাদ্রাসায় পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় শূন্যপদ তৈরি হয়নি। এখনও পর্যন্ত পরীক্ষায়  যাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে চাকরি দিতে হবে। তিনি আরও জানান, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল কমপক্ষে ২ হাজার ৬০০ শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু, তা হয়নি। যাঁরা পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন, তাঁদের আর তালিকাভুক্তও করা হয়নি।

জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন

সিবিআই বনাম রাজীব কুমার মামলায় ‘গুরুতর’ স্টেটাস রিপোর্ট আদালতে