স্পিচ থেরাপিস্ট মেরে মাথা ফাটিয়েছেন এই ছোট্ট শিশুর

স্পিচ থেরাপিস্টস্পিচ থেরাপিস্ট মেরে মাথা ফাটাল এই শিশুর!

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আড়াই বছরের ছোট্ট ছেলেটির মুখে এখনও ভাল করে কথা ফোটেনি। বাবা-মা তাই তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন স্পিচ থেরাপি সেন্টারে। কিন্তু, সেখানে ছোট্ট শিশুটির মারাত্মক অভিজ্ঞতা শুনে শিউরে উঠতে হয়। স্পিচ থেরাপিস্ট তাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। গত সোমবারের ওই ঘটনায় থেরাপিস্ট চৈতালী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ছোট্ট শিশুটির নাম আদ্রিক দাস। তার বাবা অভীক দাস এবং মা কথাকলি মালাকার সোমবার এই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন চারুমার্কেট থানায়। সেই অভিযোগে তাঁরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স বক্তিয়ার শাহ রোডে ‘স্পিচ প্লাস’ নামে একটি সেন্টার রয়েছে। সেখানে গত ৭ মে প্রথম বার তাঁরা তাঁদের সন্তান আদ্রিককে নিয়ে যান। সে দিন কোনও সমস্যা হয়নি। ওই দিন স্পিচ সেন্টারের প্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভালই মিশে গিয়েছিল আদ্রিক। সোমবার ছিল ওই সেন্টারে তার দ্বিতীয় দিন। কিন্তু, ছেলে কিছুতেই সেখানে যেতে চায়নি বলে জানিয়েছেন কথাকলি। সে দিন ছিল সোমনাথবাবুর স্ত্রী চৈতালী দেবীর ক্লাস। কিন্তু, তারা ছেলেকে অনেক বুঝিয়েসুঝিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।

কথাকলি জানান, ছেলেকে নিয়ে তিনি এবং অভীকবাবু ওই সেন্টারে গিয়েছিলেন। সেখানে চৈতালী দেবী তাঁদের বলেন, আদ্রিককে ছেড়ে দিয়ে বাইরে বসতে। প্রাথমিক ভাবে রাজি হননি আদ্রিকের বাবা-মা। পরে ছেলেকে চৈতালিদেবীর কাছে রেখে তাঁরা বাইরে চলে আসেন। কিছু ক্ষণ পরে ছেলের কান্না শুনতে পান তাঁরা। কিন্তু, তখনও তাঁদের ঘরের ভিতরে ঢিকতে দেওয়া হয়নি। এর কিছু ক্ষণ পর দেখা যায়, স্পিচ প্লাসের এক কর্মী ওষুধ এবং তুলো নিয়ে উপরের ঘরে যাচ্ছেন। তা দেখেই অভীক-কথাকলির সন্দেহ হয়। পুলিশকে তাঁরা জানিয়েছেন, এর পরেই উপরে গিয়ে তাঁরা দেখেন আদ্রিক রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে।

বার্সেলোনার অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিল লেভান্তে

অভীক-কথাকলির দাবি, আদ্রিক এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়ে যে, বাড়িতে এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। বেশ কয়েক বার বমিও করে। চিকিৎসকেরা তাঁর মাথায় সিটি স্ক্যান করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দম্পতির অভিযোগ পাওয়ার পরেই তারা স্পিচ প্লাসের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই অভিযুক্ত চৈতালীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১৯ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ যে সিসিটিভি ফুটেজ দেখিছে, তা দেখে গা শিউরে উঠছেন অভীক-কথাকলি। তাঁরা জানিয়েছেন, আদ্রিক চুপ করছে না দেখে জোরে চেপে ধরে তাকে মারছেন চৈতালী। দুই পায়ের মাঝে আদ্রিকের মাথা চেপে ধরেছেন। আদ্রিকের দমবন্ধ হয়ে আসছে দেখেও ছাড়ছেন না। এর পর তুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলছিলেন। ছেলেটা মরেই যেত।