সাউথ সিটি মল শেষ পর্যন্ত ব্রেস্ট ফিডিং কাণ্ডে ক্ষমা চেয়ে নিল

সাউথ সিটি মল

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: সাউথ সিটি মল শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হল। কয়েকদিন আগের ঘটনা। সাউথ সিটি মলে শপিং করতে গিয়েছিলেন সদ্য মা হওয়া একজ মহিলা। সঙ্গে ছিল ছোট্ট সেই শিশু। শপিং করতে সরতেই সেই শিশুর খিদে পেয়ে যাওয়ায় মলের কর্মীদের কাছে তিনি জানতে চান বেবি ফিডিংয়ের জায়গা কোথায়? কিন্তু তাঁরা সেই মহিলাকে বলেন টয়লেটে গিয়ে বাচ্চাকে ব্রেস্ট ফিড করাতে।

অভিলাশা দাস অধিকারী মল থেকে ফিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা লেখেন। তাঁর সাত মাসের সন্তানকে ব্রেস্ট ফিড করানোর জন্য টয়লেটে যেতে বলেছিলেন সেখানকার কর্মীরা। শপিং মল অধিকর্তারা সেটা হয়তো বুঝে উঠতেই পারেননি।

অভিলাশার তাঁর এসই ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘‘কলকাতা সাউথ সিটি মলে কোনও বেবিরুম বা ফিডিং জোন নেই। যা প্রায় সব শপিং মলেই থাকে। এবং সেটার কথা বলতে তারা আমাকে টয়লেটে যেতে বলে। কোনও মহিলা চান না ভরা লে তার শরীরের গোপন অঙ্গ দেখাতে। এটা কোনও ফ্যাশন নয় এটা প্রয়োজনীয়তা।’’ অভিলাশার সেই পোস্ট পর পর শেয়ার হতে থাকে। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। তৈরি হয়ে সাউথ সিটির বিরুদ্ধে খারাপ ধারণা।

ঋত্বিক-সুজান একটা সময় ভেবেছিল আর এক সঙ্গে থাকা যাবে না

সেখানে সাউথ সিটি মল থেমে গেল হয়তো এত দূর জল গড়াত না। কিন্তু অভিলাশার পোস্টের জবাবে সাউথ সিটি মলের প্রতিক্রিয়া আগুনে ঘি ঢালার কাজ করে।

সেখানে সাউথ সিটি মল লেখে, ‘‘হাস্যকর, এটাকেএ ইস্যু করা হচ্ছে। ফ্লোরে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। গুরুতর কিছু হলে আমরা ব্যবস্থা নিই। এটা শপিংয়ের জায়গা। শ্রদ্ধা রেখেই বলছি বাড়ির কাজ গুলো বাড়িতে করলেই ভাল শপিং মলে নয়।’’

এর পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে সাউথ সিটি মলের বিরুদ্ধে। সমালোচনার ঝড় ওঠে। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার ক্ষমা চায় সাউথ সিটি মল। ‘‘আমাদের এজেন্সির কমেন্টের জন্য আমরা ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া টে এজেন্সির হাতে রয়েছে তাদের মন্তব্য আমরা দেখেছি। সাউথ সিটি মলের ম্যানেজমেন্টের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আণাদের সব ফ্লোরে বেবি চেঞ্জিং, বেবি ফিডিং, কিডস টয়লেট রয়েছে। কিন্তু মলের কিছু অংশে কাজ চলছে এই মুহূর্তে। তাই সবগুলো খোলা নেই। কিন্তু এক তলায় একটা খোলা রয়েছে।’’