সোমেন মিত্রর প্রয়াণে শোকবার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাহুল গান্ধীর

সোমেন মিত্রর প্রয়াণে শোকবার্তা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সোমেন মিত্রর প্রয়াণে শোকবার্তা আসছে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে। সোশ্যাল মিডিয়া ভরে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোকবার্তা থেকে রাজনৈতিক মহলের বিভিন্ন মানুষের বার্তায়। বুধবার গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র।

সারারাত সোমেন মিত্রর মরদেহ হাসপাতালেই রাখা ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ন’টায় তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় প্রদেশ কংগ্রেসের অফিসে। সেখানে ১২টা পর্যন্ত রাখা হয় তাঁর দেহ। এর পর নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভা। সেখানে অনেকে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানায়। এর পর রওডন স্ট্রিটের বাড়ি ও আমহার্স্ট স্ট্রিটের আদি বাড়ি হয়ে তাঁর শেষকৃত্য হবে নিমতলা মহাশ্মশানে।

রাহুল গান্ধী এদিন টুইটে লেখেন, ‘‘এই কঠিন সময়ে সোমেন মিত্রর পরিবারের প্রতি আমার সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তাঁকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করব।’’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে তাঁর শ্রদ্ধা জ্ঞ্যাপন করেছেন। তিনি লেখেন, ‘‘প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্রর প্রয়ানের খবরে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবার, কাছের মানুষদের প্রতি আমার সমবেদনা।’’

মুকুল রায় লেখেন, ‘‘সোমেন মিত্রর প্রয়ানের খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি সেই রাজনৈতিক চরিত্র যিনি বাম রাজত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। সোমেনদাকে সব সময় মিস করব। তাঁর স্মৃতি সব সময় বেঁচে থাকবে। আমার সমবেদনা তাঁর পরিবারের প্রতি।’’

অভিনেতা রাজ বব্বর তাঁর টুইট বার্তায় লেখেন, ‘‘সোমেনদার প্রয়ানের খবরে আমি শোকাহত। বাংলার রাজনীতিতে সোমেন মিত্র একজন বড় চরিত্র। আমার সমবেদনা তাঁর পরিবারের প্রতি। ভগবান তাঁদের শক্তি দিক। রিপ সোমেনদা।’’

অশোক গেহলট লেখেন, ‘‘বাংলার কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্রর প্রয়ানে আমার হৃদয় থেকে শ্রদ্ধা। তাঁর পরিবার, সমর্থকদের ভগবান শক্তি দিক এই কঠিন সময়ে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’’

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর টুইটে লেখেন, ‘‘বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর প্রয়ানে আমি শোকাহত। বাংলা তাঁকে সব সময় মনে রাখবে।’’

জানা গিয়েছে রুটিন চেকআপের জন্যই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের তরফে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল জানানো হয়েছিল এদিনও। বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতার ছেলে রোহন মিত্র জানিয়েছিলেন, সোমেন মিত্রর ক্রিটেনাইনের পরিমান বেড়ে গিয়েছিল, যার চিকিৎসা চলছিল।

কয়েকবছর আগে তাঁর বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। যার জন্য নিয়মিত চেকআপ করাতে হত। কিন্তু এ বার লকডাউনের জন্য তা অনেকটাই পিছিয়ে যায়। বুধবার সকালেও সুস্থ ছিলেন বলে তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাতেই সব শেষ। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন।

(বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)